ঢাকা ০৪:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

সালমান শাহ ছিলেন ঢালিউডে আধুনিকতার প্রতীক

একজন অমর নায়ক: সালমান শাহ

বিনোদন ডেস্ক
  • ০৭:৩৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫
  • / 240
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে যদি কোনো নাম চিরকালীন কিংবদন্তি হয়ে থাকে, তবে তা নিঃসন্দেহে সালমান শাহ। নব্বইয়ের দশকে যিনি তাঁর অসাধারণ অভিনয়, স্টাইল এবং ব্যক্তিত্ব দিয়ে ঢালিউডকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়ে যিনি অগণিত দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন, সেই নায়ক সালমান শাহ আজও বাংলার মানুষের স্মৃতিতে অমলিন।

১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ, যার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। টেলিভিশনে কাজের মাধ্যমে শোবিজে প্রবেশ করলেও, ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তাঁর। ছবিটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায় এবং বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন এক যুগের সূচনা করে।

আরো পড়ুন: শীর্ষে থাকা ক্যারিয়ার কেন বিসর্জন দিয়েছেন শাবনূর

এরপর ‘সুজন সখী’, ‘বিচার হবে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ সহ একের পর এক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দেন তিনি। মৌসুমী, শাবনূরের সঙ্গে তাঁর জুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, যা আজও বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে জায়গা করে আছে।

সালমান শাহ ছিলেন ঢালিউডে আধুনিকতার প্রতীক। তাঁর অভিনয় ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, সংলাপ উপস্থাপন ছিল বাস্তবসম্মত, আর ফ্যাশন ছিল সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে। নব্বইয়ের দশকের তরুণরা তাঁর স্টাইল অনুসরণ করতেন। তাঁর সংলাপ, গান ও সিনেমার দৃশ্য আজও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা প্রমাণ করে যে তিনি কেবল নায়ক নন, বরং এক চিরসবুজ অনুভূতির নাম।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, মাত্র ২৫ বছর বয়সে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন সালমান শাহ। প্রথমে একে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করা হলেও, পরে এই মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করা হয়। তাঁর মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত এবং এটি নিয়ে ভক্তদের মাঝে রয়েছে অসংখ্য প্রশ্ন।

সালমান শাহ নেই, কিন্তু তাঁর কাজ, অভিনয় ও ভালোবাসা আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে জীবন্ত। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে ভক্তরা এখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেন, সিনেমাগুলো দেখেন এবং তাঁর অবদান স্মরণ করেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, সত্যিকারের নায়ক কখনো হারিয়ে যায় না।

সালমান শাহ ছিলেন এবং থাকবেন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নক্ষত্র, যিনি অমর হয়ে আছেন তাঁর কোটি ভক্তের হৃদয়ে।

সালমান শাহ ছিলেন ঢালিউডে আধুনিকতার প্রতীক

একজন অমর নায়ক: সালমান শাহ

০৭:৩৮:০০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশের চলচ্চিত্র জগতে যদি কোনো নাম চিরকালীন কিংবদন্তি হয়ে থাকে, তবে তা নিঃসন্দেহে সালমান শাহ। নব্বইয়ের দশকে যিনি তাঁর অসাধারণ অভিনয়, স্টাইল এবং ব্যক্তিত্ব দিয়ে ঢালিউডকে নতুন এক উচ্চতায় নিয়ে গিয়েছিলেন। মাত্র চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়ে যিনি অগণিত দর্শকের হৃদয়ে স্থায়ী জায়গা করে নিয়েছেন, সেই নায়ক সালমান শাহ আজও বাংলার মানুষের স্মৃতিতে অমলিন।

১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটে জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ, যার প্রকৃত নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। টেলিভিশনে কাজের মাধ্যমে শোবিজে প্রবেশ করলেও, ১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক ঘটে তাঁর। ছবিটি তুমুল জনপ্রিয়তা পায় এবং বাংলা চলচ্চিত্রে নতুন এক যুগের সূচনা করে।

আরো পড়ুন: শীর্ষে থাকা ক্যারিয়ার কেন বিসর্জন দিয়েছেন শাবনূর

এরপর ‘সুজন সখী’, ‘বিচার হবে’, ‘তোমাকে চাই’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘স্বপ্নের ঠিকানা’ সহ একের পর এক ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দেন তিনি। মৌসুমী, শাবনূরের সঙ্গে তাঁর জুটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, যা আজও বাংলা চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মনে জায়গা করে আছে।

সালমান শাহ ছিলেন ঢালিউডে আধুনিকতার প্রতীক। তাঁর অভিনয় ছিল স্বতঃস্ফূর্ত, সংলাপ উপস্থাপন ছিল বাস্তবসম্মত, আর ফ্যাশন ছিল সময়ের চেয়ে অনেক এগিয়ে। নব্বইয়ের দশকের তরুণরা তাঁর স্টাইল অনুসরণ করতেন। তাঁর সংলাপ, গান ও সিনেমার দৃশ্য আজও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা প্রমাণ করে যে তিনি কেবল নায়ক নন, বরং এক চিরসবুজ অনুভূতির নাম।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর, মাত্র ২৫ বছর বয়সে রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন সালমান শাহ। প্রথমে একে আত্মহত্যা হিসেবে প্রচার করা হলেও, পরে এই মৃত্যু নিয়ে বিভিন্ন বিতর্ক সৃষ্টি হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করা হয়। তাঁর মৃত্যু আজও রহস্যাবৃত এবং এটি নিয়ে ভক্তদের মাঝে রয়েছে অসংখ্য প্রশ্ন।

সালমান শাহ নেই, কিন্তু তাঁর কাজ, অভিনয় ও ভালোবাসা আজও কোটি মানুষের হৃদয়ে জীবন্ত। তাঁর স্মৃতি ধরে রাখতে ভক্তরা এখনো বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করেন, সিনেমাগুলো দেখেন এবং তাঁর অবদান স্মরণ করেন। তিনি প্রমাণ করেছেন, সত্যিকারের নায়ক কখনো হারিয়ে যায় না।

সালমান শাহ ছিলেন এবং থাকবেন বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় নক্ষত্র, যিনি অমর হয়ে আছেন তাঁর কোটি ভক্তের হৃদয়ে।