তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীদের তিন দিনের আল্টিমেটাম

- আপডেট সময় : ০৪:৩৩:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
- / 61
রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণার দাবিতে শিক্ষার্থীরা ফের তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। একইসঙ্গে তারা সাত কলেজের অধীনে থাকতে চান না বলেও জানিয়েছেন।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে কলেজের মূল ফটকের সামনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দ্বিচারিতার প্রতিবাদে তিতুমীর ঐক্যের পক্ষ থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
শিক্ষার্থীদের দাবি, তিতুমীর কলেজ রাষ্ট্রের শিক্ষা ব্যবস্থায় নানা রকম বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তারা বলেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সব দপ্তরে তাদের দাবি জানানো হলেও কোনো সমাধান আসেনি। সিন্ডিকেটের স্বার্থান্বেষী চক্র তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়নে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রতিবাদ কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগ, সরকারের ভূমিকা নিয়ে বিস্ময় ২১০ নাগরিকের
লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থী বেলাল হোসেন বলেন, গত ৩ ফেব্রুয়ারি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কলেজ অধিশাখার যুগ্মসচিব নুরুজ্জামানসহ সরকারি প্রতিনিধি দল আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন। তারা সাত দফা দাবির মধ্যে ছয় দফা বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন। কিন্তু পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) সাত কলেজকে স্বতন্ত্র কাঠামোর আওতায় আনার নোটিশ দেয়, যেখানে তিতুমীর কলেজের নামও অন্তর্ভুক্ত ছিল। শিক্ষার্থীদের মতে, এটি মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতির পরিপন্থী এবং দ্বিচারিতার বহিঃপ্রকাশ।
তারা স্পষ্টভাবে জানান, তিতুমীর কলেজকে কোনো সেন্ট্রাল কাঠামোর অধীনে রাখা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া ছয় দফা প্রতিশ্রুতি আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে বাস্তবায়ন করে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রধান দাবিগুলো:
১. ছাত্র-শিক্ষক ও মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিদের মাধ্যমে স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামো গঠন।
২. এই কমিটির অধীনে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা পরিচালনা।
৩. আইন ও সাংবাদিকতা বিভাগ সংযোজন।
৪. অন্তত ১৫ জন পিএইচডি ডিগ্রিধারী শিক্ষক নিয়োগ।
৫. ১৫১টি বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার পদ সৃষ্টি করে শিক্ষক নিয়োগ।
৬. আন্তর্জাতিক মানের লাইব্রেরি ও গবেষণাগার নির্মাণ, শতভাগ আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত করা এবং পরিবহন সংকট নিরসনে ২০টি দোতলা বিআরটিসি বাস বরাদ্দ।
শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দেন, এসব দাবি উপেক্ষা করে ইউজিসির একক কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হলে তা মানা হবে না।