ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ডিজিটাল নজরদারি আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা সভা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫
  • / 52
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন লিগ্যাল ফোরামের (এডিএলএফ) উদ্যোগে “বাংলাদেশে ডিজিটাল নজরদারি আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন” শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ঢাকার বাংলামটরে অবস্থিত বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এ সভার আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে আইন বিশেষজ্ঞ, গবেষক, মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা ডিজিটাল নজরদারির ফলে নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতার ওপর এর প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।

সভায় সংঠনের সদস্য নফিউল আলম সুপ্ত, আবিদ আনসারী, ইশতিয়াক আহমেদ জিপু, সুমাইয়া শাহরিয়ার ফিদাসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, কবিরাজ গ্রেপ্তার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী সর্বব্যাপী নজরদারির সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব তুলে ধরেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, নজরদারি এবং মানবাধিকারের মধ্যে মৌলিক দ্বন্দ্ব রয়েছে, যা একইসাথে সহাবস্থান করতে পারে না।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং পলিসি স্কলার সাবহানাজ রাশিদ দিয়া ঔপনিবেশিক যুগের নজরদারি আইন পর্যালোচনা করেন এবং আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থার গঠন ও এর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিশেষত ২০০১ সালের পর বিশ্বব্যাপী নজরদারি আইন কঠোরভাবে প্রণীত হয়েছে এবং এর সামাজিক প্রতিক্রিয়া বুঝতে হলে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা জরুরি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার দেশের আইনি কাঠামোর দুর্বলতা ও নজরদারির অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, অতীতেও শারীরিক নজরদারি ছিল, তবে বর্তমান যুগে সাইবার নজরদারি সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান ‘যৌক্তিক বিধিনিষেধ’ নীতির বিচারিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং নজরদারির নামে অবাধ পর্যবেক্ষণ বন্ধের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনি শিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং এডিএলএফের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মনির হোসেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডিজিটাল নজরদারি আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা সভা

আপডেট সময় : ০১:১২:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ মার্চ ২০২৫

অ্যান্টি-ডিসক্রিমিনেশন লিগ্যাল ফোরামের (এডিএলএফ) উদ্যোগে “বাংলাদেশে ডিজিটাল নজরদারি আইন ও মানবাধিকার লঙ্ঘন” শীর্ষক এক গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ঢাকার বাংলামটরে অবস্থিত বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে এ সভার আয়োজন করা হয়।

এই অনুষ্ঠানে আইন বিশেষজ্ঞ, গবেষক, মানবাধিকার কর্মী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা ডিজিটাল নজরদারির ফলে নাগরিক অধিকার ও স্বাধীনতার ওপর এর প্রভাব নিয়ে বিশদ আলোচনা করেন।

সভায় সংঠনের সদস্য নফিউল আলম সুপ্ত, আবিদ আনসারী, ইশতিয়াক আহমেদ জিপু, সুমাইয়া শাহরিয়ার ফিদাসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

আরও পড়ুন: চিকিৎসার প্রলোভন দেখিয়ে প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণ, কবিরাজ গ্রেপ্তার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাজ্জাদ সিদ্দিকী সর্বব্যাপী নজরদারির সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রভাব তুলে ধরেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, নজরদারি এবং মানবাধিকারের মধ্যে মৌলিক দ্বন্দ্ব রয়েছে, যা একইসাথে সহাবস্থান করতে পারে না।

অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং পলিসি স্কলার সাবহানাজ রাশিদ দিয়া ঔপনিবেশিক যুগের নজরদারি আইন পর্যালোচনা করেন এবং আধুনিক নজরদারি ব্যবস্থার গঠন ও এর বৈশ্বিক প্রভাব নিয়ে আলোকপাত করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে, বিশেষত ২০০১ সালের পর বিশ্বব্যাপী নজরদারি আইন কঠোরভাবে প্রণীত হয়েছে এবং এর সামাজিক প্রতিক্রিয়া বুঝতে হলে ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনা করা জরুরি।

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মো. সাইমুম রেজা তালুকদার দেশের আইনি কাঠামোর দুর্বলতা ও নজরদারির অপব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় সংস্কারের ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, অতীতেও শারীরিক নজরদারি ছিল, তবে বর্তমান যুগে সাইবার নজরদারি সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে উঠেছে।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের অ্যাডভোকেট ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আল নোমান ‘যৌক্তিক বিধিনিষেধ’ নীতির বিচারিক দিক নিয়ে আলোচনা করেন এবং নজরদারির নামে অবাধ পর্যবেক্ষণ বন্ধের আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ও বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনি শিক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আলোচনা সভাটি পরিচালনা করেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং এডিএলএফের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মনির হোসেন।