শেষ ওভারে খুলনার জয়ের নায়ক রানা
- আপডেট সময় : ০১:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 49
জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) টি-টোয়েন্টি সংস্করণের উদ্বোধনী দিনটা ছিল ব্যাটারদের। জিশান আলমের বিধ্বংসী সেঞ্চুরি, আরিফুল ইসলামের ৯৪ রান তেমনটাই ইঙ্গিত করে। সঙ্গে প্রথম দিনের সিলেটের ২০৫ রানের বিপরীতে ঢাকার ২০৭ রান, ঢাকা মেট্রোর ১৯২ রানের দলীয় স্কোরই তার প্রমাণ।
তবে একদিন পরেই বিপরীত চিত্রটাও দেখলেন ব্যাটাররা।
আজকের দিনটা তাদের নয়, বোলারদের ছিল। দলগুলোর দলীয় স্কোরের সঙ্গে দুটি ম্যাচের ফল এসেছে শেষ ওভারে। কিন্তু সেখানেও বোলারদেরই জয় হয়েছে। শেষ ওভারে রান ডিফেন্ড করতে এসে দলকে জিতেছেন নিজ নিজ দলের বোলাররা।
শেষ ওভারে বরিশালের নাটকীয় হার
দিনের শুরুতে সিলেট ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বরিশাল ম্যাচ জিতেই গিয়েছিল। কিন্তু শেষ ওভারের নাটকীয়তায় ১ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ২০তম ওভারে বরিশালের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৯ রান। হাতে ৪ উইকেট ছিল।
ব্যাটিংয়ে ছিলেন ৪২ রান নিয়ে সে সময় ক্রিজে ছিলেন সেট ব্যাটার মঈন খানও। খুলনার বাঁহাতি পেসার মেহেদী হাসান রানার প্রথম ৩ বলে ৬ রান নিয়ে সমীকরণটা সহজ করে নেন কামরুল হাসান রাব্বী। কিন্তু শেষ ৩ বলে ৩ রান নিতে গিয়ে গুবলেট পাকায় বরিশালের ব্যাটাররা।
শেষ তিন বলে মাত্র ১ রান নিয়ে ৩ উইকেট হারায় বরিশাল। তাতে ১ রানের হার সঙ্গী হয় বরিশালের।
অথচ, তাদের ১৩১ রানের লক্ষ্যটাও খুব বড় ছিল না। ওপেনিংয়ে নেমে আব্দুল মজিদ ৫১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণও নিজেদের হাতেই নিয়েছিলেন। তবে বরিশালের অন্য ব্যাটাররা ভালো না করায় হারতে হয়েছে। এর আগে অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ৩৯ ও এনামুল হক বিজয়ের ২৪ রানের সৌজন্যে ১৩০ রান করে খুলনা।
শেষ ওভারে রোমাঞ্চকর জয় ঢাকা মেট্রোর
সিলেটে বিকেলের ম্যাচে ঢাকা মেট্রোর দেওয়া ১৬৩ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে থাকে রাজশাহী। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৬০ রানে ইনিংস খেলে একাই ম্যাচ জিতিয়ে দিচ্ছিলেন ফরহাদ রেজা। বাংলাদেশর সাবেক অলরাউন্ডার যখন ব্যাটিং নামেন তখন ৬৬ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে জয়ের সুবাতাস পাচ্ছিল ঢাকা মেট্রো। সেখান থেকে একাই ম্যাচ বের করে নিচ্ছিলেন রেজা।
কিন্তু শেষ সমীকরণটা মেলাতে পারেননি রেজা। ৬ বলে জয়ের ১০ রান প্রয়োজন ছিল রাজশাহীর। শহীদুল ইসলামের প্রথম বলে সিঙ্গেল নিয়ে রেজাকে দায়িত্বটা বুঝে দেন মোহর শেখ। কিন্তু পুরো ম্যাচে দায়িত্ব পালন করা অলরাউন্ডার দ্বিতীয়, তৃতীয় বলে তো রান নিতে পারলেন না উল্টো চতুর্থ বলে আউট হয়ে দলের হার নিশ্চিত করেন।
পরের দুই বলেও কোনো রান না দিয়ে শেষ বলে শফিকুল ইসলামকে আউট করে ঢাকা মেট্রোকে ৮ রানের জয় এনে দেন শহীদুল। সব মিলিয়ে ২৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরার পুরস্কারও জেতেন এই পেসার। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে অধিনায়ক নাঈম শেখের ৪৩ রানের ওপরে ভর করে ১৬২ রানের সংগ্রহ পায় ঢাকা মেট্রো।