ঢাকা ০৫:১৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
**সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ**
Logo শেখ মুজিবের জন্য ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে: শফিকুল আলম Logo আমরা বেঁচে থাকতে সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে নিহত Logo মৌলভীবাজারে শাহ মোস্তফা (রহ.)-এর ওরসে হাজারও ভক্ত অনুরাগী ও দর্শনার্থীদের সমাগম Logo গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ছাড়া এই সরকার বেআইনি ও অবৈধ Logo সংস্কার প্রতিবেদন থেকে নতুন চার্টার, তার ভিত্তিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে প্রেরণা মেধাবৃত্তি’র ফলাফল প্রকাশ Logo জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo শেরপুরে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা Logo মনে রাখবেন যারা অন্যায় করের তারা সংখ্যায় কম, আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাবে: সারজিস আলম

কানাডায় প্রতি ২০টিতে একটি স্বেচ্ছামৃত্যু, বাড়তে পারে আরও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 42
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কানাডায় প্রতি ২০টি মৃত্যুর মধ্যে একটি মৃত্যু ঘটে স্বেচ্ছায়। অর্থাৎ মেডিকেল সহায়তা দেয়া হয়। কিন্তু টানা পঞ্চম বছরের মতো সেখানে এমন মৃত্যু বৃদ্ধির হার বেড়েছে। এ প্রক্রিয়াকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ইউথানাসিয়া’।

২০১৬ সালে এমন মৃত্যুকে বৈধতা দেয়া হয়। তারপর থেকে পঞ্চমবারের মতো বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দেশটি। যারা এই প্রক্রিয়ায় মৃত্যুবরণ করতে চাইছেন প্রথমবারের মতো তাদের জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর এই প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছামৃত্যুবরণ করছেন প্রায় ১৫,৩০০ মানুষ। কানাডায় ওই বছর মোট যে পরিমাণ মানুষ মারা গেছেন তার মধ্যে শতকরা ৪.৭ ভাগ তারা।

যেসব মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ তাদেরকে এই সুবিধা নেয়ার জন্য ইউথানাসিয়া’কে ২০২৭ সালের মধ্যে বিস্তৃত করতে চাইছেন আইনপ্রণেতারা। বিশ্বে গত এক দশকে মেডিকেল সহযোগিতায় মৃত্যুর আইনকে বৈধতা দিয়েছে অল্প কয়েকটি দেশ। তার মধ্যে অন্যতম কানাডা। অন্যদের মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও অস্ট্রিয়া। বুধবার হেলথ কানাডা যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মেডিকেল সহযোগিতায় মৃত্যুর হার কানাডায় বেড়েছে শতকরা প্রায় ১৬ ভাগ।

তবে এর আগের বছর এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল শতকরা ৩১ ভাগ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে কেন এই সংখ্যা কমেছে, তার কারণ এত অল্প সময়ের মধ্যে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, যারা মেডিকেল সহযোগিতায় মৃত্যুর জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন তার মধ্যে শতকরা ৯৬ ভাগেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বাকি শতকরা ৪ ভাগকে ইউথানাসিয়া পদ্ধতিতে মৃত্যুবরণ করতে সহযোগিতা করা হয়েছে। কারণ, তারা দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে ভুগছিলেন।

দৃশ্যত এসব মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু অত্যাসন্ন বলেও মনে হচ্ছিল না। যারা মেডিকেল সহযোগিতা চেয়ে মৃত্যুর আবেদন করেছেন তাদের গড় বয়স প্রায় ৭৭ বছর। তাদের বেশির ভাগের ক্যান্সার। যেসব ব্যক্তি এই পদ্ধতিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন তার মধ্যে শতকরা ৯৬ ভাগই শ্বেতাঙ্গ। এর মধ্যে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগই কানাডার নাগরিক। দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী হলেন পূর্ব এশিয়ার। তারা শতকরা ১.৮ ভাগ।

নিউজটি শেয়ার করুন

কানাডায় প্রতি ২০টিতে একটি স্বেচ্ছামৃত্যু, বাড়তে পারে আরও

আপডেট সময় : ০১:২৩:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

কানাডায় প্রতি ২০টি মৃত্যুর মধ্যে একটি মৃত্যু ঘটে স্বেচ্ছায়। অর্থাৎ মেডিকেল সহায়তা দেয়া হয়। কিন্তু টানা পঞ্চম বছরের মতো সেখানে এমন মৃত্যু বৃদ্ধির হার বেড়েছে। এ প্রক্রিয়াকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘ইউথানাসিয়া’।

২০১৬ সালে এমন মৃত্যুকে বৈধতা দেয়া হয়। তারপর থেকে পঞ্চমবারের মতো বার্ষিক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে দেশটি। যারা এই প্রক্রিয়ায় মৃত্যুবরণ করতে চাইছেন প্রথমবারের মতো তাদের জাতিগত পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গত বছর এই প্রক্রিয়ায় স্বেচ্ছামৃত্যুবরণ করছেন প্রায় ১৫,৩০০ মানুষ। কানাডায় ওই বছর মোট যে পরিমাণ মানুষ মারা গেছেন তার মধ্যে শতকরা ৪.৭ ভাগ তারা।

যেসব মানুষ মানসিকভাবে অসুস্থ তাদেরকে এই সুবিধা নেয়ার জন্য ইউথানাসিয়া’কে ২০২৭ সালের মধ্যে বিস্তৃত করতে চাইছেন আইনপ্রণেতারা। বিশ্বে গত এক দশকে মেডিকেল সহযোগিতায় মৃত্যুর আইনকে বৈধতা দিয়েছে অল্প কয়েকটি দেশ। তার মধ্যে অন্যতম কানাডা। অন্যদের মধ্যে আছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, স্পেন ও অস্ট্রিয়া। বুধবার হেলথ কানাডা যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে মেডিকেল সহযোগিতায় মৃত্যুর হার কানাডায় বেড়েছে শতকরা প্রায় ১৬ ভাগ।

তবে এর আগের বছর এই হার বেড়ে দাঁড়িয়েছিল শতকরা ৩১ ভাগ। পরের বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালে কেন এই সংখ্যা কমেছে, তার কারণ এত অল্প সময়ের মধ্যে নির্ধারণ করা সম্ভব হয়নি বলে জানানো হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়, যারা মেডিকেল সহযোগিতায় মৃত্যুর জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন তার মধ্যে শতকরা ৯৬ ভাগেরই স্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বাকি শতকরা ৪ ভাগকে ইউথানাসিয়া পদ্ধতিতে মৃত্যুবরণ করতে সহযোগিতা করা হয়েছে। কারণ, তারা দীর্ঘদিন ধরে জটিল রোগে ভুগছিলেন।

দৃশ্যত এসব মানুষের স্বাভাবিক মৃত্যু অত্যাসন্ন বলেও মনে হচ্ছিল না। যারা মেডিকেল সহযোগিতা চেয়ে মৃত্যুর আবেদন করেছেন তাদের গড় বয়স প্রায় ৭৭ বছর। তাদের বেশির ভাগের ক্যান্সার। যেসব ব্যক্তি এই পদ্ধতিতে স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেছেন তার মধ্যে শতকরা ৯৬ ভাগই শ্বেতাঙ্গ। এর মধ্যে শতকরা প্রায় ৭০ ভাগই কানাডার নাগরিক। দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ গোষ্ঠী হলেন পূর্ব এশিয়ার। তারা শতকরা ১.৮ ভাগ।