ঢাকা ১১:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

ধর্ষণের ঘটনাগুলো পত্র-পত্রিকায় পড়লে হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়

  • আপডেট সময় : ০২:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • / 161
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অর্থনীতিবিদ ও জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেছেন দেশব্যাপী ধর্ষণের বিভীষিকাময় ঘটনাগুলো পত্র-পত্রিকায় পড়লে হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়। এরা মানুষ নয়—এরা নরপিশাচ, সভ্যতার কলঙ্ক।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, কিন্তু আরো ভয়ঙ্কর আমাদের নৈতিক মূল্যবোধের ক্রমশ পতন। যদি আমরা আমাদের মা-বোনদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের কোনো মূল্যই থাকবে না। এই অবক্ষয় আর লজ্জাজনক নির্লিপ্ততা আর সহ্য করা যায় না!

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এই জঘন্য অপরাধের সংস্কৃতিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে। মা-বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের চলার পথ করতে হবে নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ধর্ষকদের জন্য মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধানও এই ভয়ংকর সহিংসতা ঠেকাতে পারছে না। বিচার একটি প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থা, যা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর কার্যকর হয়। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হতে হবে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা।

 

তিনি আরও বলেন, প্রতিরোধ মানে শুধু কঠোর শাস্তি নয়, বরং সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন। পরিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র থেকে রাষ্ট্র—সর্বত্র নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তার বিষয়ে আপসহীন হতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের যে অন্ধকার আমাদের গ্রাস করছে, তা থেকে জাতিকে ফেরাতে হবে। এ লড়াই শুধু আইনের নয়, এটা আমাদের সামগ্রিক চেতনার লড়াই। এখনই যদি আমরা সোচ্চার না হই, রুখে না দাঁড়াই, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

ধর্ষণের ঘটনাগুলো পত্র-পত্রিকায় পড়লে হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়

আপডেট সময় : ০২:৩৬:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

অর্থনীতিবিদ ও জাকের পার্টির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ড. সায়েম আমীর ফয়সল বলেছেন দেশব্যাপী ধর্ষণের বিভীষিকাময় ঘটনাগুলো পত্র-পত্রিকায় পড়লে হৃদয় ক্ষতবিক্ষত হয়। এরা মানুষ নয়—এরা নরপিশাচ, সভ্যতার কলঙ্ক।

রোববার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রমহানি, আইনশৃঙ্খলার চরম অবনতি, কিন্তু আরো ভয়ঙ্কর আমাদের নৈতিক মূল্যবোধের ক্রমশ পতন। যদি আমরা আমাদের মা-বোনদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হই, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের অস্তিত্বের কোনো মূল্যই থাকবে না। এই অবক্ষয় আর লজ্জাজনক নির্লিপ্ততা আর সহ্য করা যায় না!

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এই জঘন্য অপরাধের সংস্কৃতিকে চিরতরে নির্মূল করতে হবে। মা-বোনদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, তাদের চলার পথ করতে হবে নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবতা হলো, ধর্ষকদের জন্য মৃত্যুদণ্ডসহ কঠোর শাস্তির বিধানও এই ভয়ংকর সহিংসতা ঠেকাতে পারছে না। বিচার একটি প্রতিক্রিয়াশীল ব্যবস্থা, যা অপরাধ সংঘটিত হওয়ার পর কার্যকর হয়। কিন্তু আমাদের লক্ষ্য হতে হবে অপরাধ সংঘটিত হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করা।

 

তিনি আরও বলেন, প্রতিরোধ মানে শুধু কঠোর শাস্তি নয়, বরং সমাজব্যবস্থার পরিবর্তন। পরিবার থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মক্ষেত্র থেকে রাষ্ট্র—সর্বত্র নারীর মর্যাদা ও নিরাপত্তার বিষয়ে আপসহীন হতে হবে। নৈতিক মূল্যবোধের চরম অবক্ষয়ের যে অন্ধকার আমাদের গ্রাস করছে, তা থেকে জাতিকে ফেরাতে হবে। এ লড়াই শুধু আইনের নয়, এটা আমাদের সামগ্রিক চেতনার লড়াই। এখনই যদি আমরা সোচ্চার না হই, রুখে না দাঁড়াই, তাহলে জাতি হিসেবে আমাদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।