এ কেমন শত্রুতা!
- আপডেট সময় : ১০:১৭:১৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 61
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তিনজন কৃষকের ৩৫ বিঘা ভুট্টাখেতের ভুট্টার গাছ নষ্ট করায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত প্রান্তিক কৃষকরা। গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার রাতে কৃষকের ক্ষতি করেন দুর্বৃত্তরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে তাড়াশ থানার এএসআই উত্তম কুমার বর্মণ বলেন, মাঠে-মাঠে কৃষকের খেতে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।
সগুনা ইউনিয়নের পতিরামপুর গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক বেল্লাল প্রামাণিক বলেন, পতিরামপুর মাঠে অন্যের জমি লীজ নিয়ে ভুট্টার আবাদ করেছিলেন। প্রতিবিঘা জমিতে লীজের টাকা দিতে হয়েছে ১১ হাজার ৫০০। অন্যান্য খরচ হয়েছে আরও সারে ৮ হাজার টাকা বিঘাপ্রতি। ১৭ বিঘা জমির ১ মাসের ভুট্টা গাছের খরচ হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। দুর্বৃত্তরা পোড়ানো বিষ দিয়ে ভুট্টার গাছ পুড়িয়ে দিয়েছেন। ফসল হারিয়ে পথে বসে গেলাম।
নাটোরের সিংড়া উপজেলার ডাহিয়া ইউনিয়নের সরিষাবাড়ি গ্রামের কৃষক আবুল খায়ের বলেন, পতিরামপুর মাঠে আমার ৬ বিঘা জমিতে পোড়ানো বিষ দিয়ে ভুট্টার গাছ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষতি পোষাবার নয়।
ক্ষতিগ্রস্ত দুই কৃষক আরও বলেন, গত শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে ভুট্টার জমি পরিচর্যা করেছি। শনিবার দুপুরের দিকে এসে দেখি সর্বনাশ হয়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা ভুট্টার জমির সব গাছ পুড়িয়ে দিয়েছেন।
এদিকে মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুরিয়া গ্রামের কৃষক আবু সাইম বলেন, আমার আবাদি জমির জোরপূর্বক দখল নেওয়ার জন্য ১২ বিঘা জমির ভুট্টার গাছ কেটে নষ্ট করেছেন হামকুরিয়া গ্রামের প্রভাবশালী ব্যক্তি আলাউদ্দিন ও নবির উদ্দীন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে আলাউদ্দিন ও নবির উদ্দীনসহ আরও বেশ কয়েকজন মিলে ভুট্টার গাছ কেটে দেন। আমি সঠিক বিচার চাই।
সরেজমিনে পতিরামপুর মাঠে দেখা গেছে, ভুট্টাখেতের সব ভুট্টার গাছ পুড়ে নুয়ে পড়েছে। হামকুরিয়া গ্রামের কৃষকের ভুট্টার গাছগুলো কাটা পড়ে আছে। কৃষকরা জমির মধ্যে বসে বিলাপ করছেন!
অপরদিকে পতিরামপুর গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দা ও পতিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, শত্রুতাবশত দুর্বৃত্তরা ফসলহানী ঘটাতে পারেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, আমাদের ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে কৃষকের ক্ষতির চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করছেন। যাতে কোনোভাবে সহায়তা দেওয়া যায়।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসলাম হোসেন প্রথম পোস্টকে বলেন, আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।