বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ ও নৌকা প্রতীকে রাজনীতির দিন শেষ: বাগছাস

- আপডেট সময় : ১১:৩৩:১৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫
- / 48
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের নামে এবং নৌকা প্রতীকে আর কখনো রাজনীতি করা যাবে না বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) সদস্য সচিব জাহিদ আহসান। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এক সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের সামনে থেকে শুরু হওয়া একটি মিছিল ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো প্রদক্ষিণ করে।
জাহিদ আহসান তার বক্তব্যে বলেন, “রিফাইন আওয়ামী লীগ বলে কিছু হয় না। আওয়ামী লীগ মানেই আওয়ামী লীগ। ১৯৭৫ সালে এই ফর্মুলা দিয়ে আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনা হয়েছিল। কিন্তু নামে-বেনামে আওয়ামী লীগকে পুনরায় ফিরিয়ে এনে শেখ পরিবারের হাতে তুলে দিয়ে বাংলাদেশকে আরেকটি গণহত্যার দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য আমরা জুলাইয়ে রক্ত দেইনি।” তিনি আরও জোর দিয়ে বলেন, “আমাদের বার্তা স্পষ্ট—যেখান থেকেই আওয়ামী লীগকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা হবে, সেই প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আমাদের লড়াই চলবে।”
বাগছাসের মুখপাত্র আশরেফা খাতুন সমাবেশে বলেন, “আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে আমাদের এখনো রাস্তায় নামতে হচ্ছে, অথচ ৫ আগস্টে এটি নির্ধারণ হয়ে গেছে যে আওয়ামী লীগ থাকবে না। বিভিন্ন প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগকে রাজনীতিতে ফিরিয়ে আনার নানা চক্রান্ত চলছে। আমাদের শরীরে যতদিন এক ফোঁটা রক্ত থাকবে, ততদিন আওয়ামী লীগকে ফিরতে দেব না। যতদিন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হবে এবং এর বিচার না হবে, ততদিন আমরা রাস্তায় থাকব।”
আরও পড়ুন: গাজার ওপর অব্যাহত নিপীড়ন: মানবতার চূড়ান্ত পরাজয়- ড. সায়েম আমীর ফয়সাল
সংগঠনটির মুখ্য সংগঠক তাহমীদ আল মুদ্দাসিসর চৌধুরী বলেন, “৫ আগস্টের পর যে ‘মাইনাস টু ফর্মুলা’ এসেছে, সেটি হচ্ছে সাউথ এশিয়ান মাইনাস টু। আমাদের ভারত ও পাকিস্তানের আধিপত্য থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। নতুন বাংলাদেশের জন্য নতুন কূটনৈতিক অঞ্চল নির্ধারণ করতে হবে। আমরা ভারত-পাকিস্তানমুখী রাজনীতি শেষ করে দিয়েছি। ভারতের প্রেসক্রিপশনে বাংলাদেশের রাজনীতি বা ভাগ্য নির্ধারিত হবে—এটা আমরা মেনে নেব না।”
সমাবেশে গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখপাত্র রাফিয়া রেহনুমা হৃদি, সদস্য সচিব মহির আলমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তারা আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক প্রত্যাবর্তনের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান এবং দেশের স্বাধীন ভাগ্য নির্ধারণে নতুন দিশার ওপর জোর দেন।