ঢাকা ০২:১৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫

মেহেরপুরে মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাবা গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
  • / 54
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মেহেরপুরের গাংনীতে মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাবা আশারুল ইসলাম (৪৫) গ্রেফতার হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার করমদি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আশারুল ইসলাম করমদি কাজীপাড়া এলাকার আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ১৪ মার্চ ভুক্তভোগী নারী গাংনী থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি তার বাবার বাড়িতে থাকাকালে রাতের খাবার শেষে নিজের ঘরে চলে যান। ওই দিন রাত দুইটার দিকে তিনি ঘুম থেকে জেগে গিয়ে অনুভব করেন যে, তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কেউ কিছু করছে। মোবাইলের আলো দিয়ে দেখে তিনি দেখেন, তার বাবা আশারুল ইসলাম বিছানায় বসে আছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করলে, কোনো উত্তর না দিয়ে আসামি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আসামি নিজ কক্ষে চলে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছয় দিন নিজেকে ঘরে বন্দি রাখেন। পরে তার মা তাকে ঘর থেকে বের হতে বললে, তিনি ঘটনা খুলে বলেন এবং জানিয়ে দেন, এর আগে তার বাবা বিভিন্ন সময়ে তাকে শারীরিকভাবে লজ্জাজনকভাবে স্পর্শ করেছিল, কিন্তু সে লজ্জায় কাউকে কিছু বলেনি। এরপর ১৪ মার্চ থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করলে, পুলিশ দ্রুততম সময়ে আসামিকে গ্রেফতার করে এবং আদালতে পাঠায়।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গাংনী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: dhakamail.com

নিউজটি শেয়ার করুন

মেহেরপুরে মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাবা গ্রেফতার

আপডেট সময় : ১১:৩৯:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫

মেহেরপুরের গাংনীতে মেয়ের দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় বাবা আশারুল ইসলাম (৪৫) গ্রেফতার হয়েছেন।

শুক্রবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার করমদি গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। আশারুল ইসলাম করমদি কাজীপাড়া এলাকার আয়েজ উদ্দিনের ছেলে।

শনিবার (১৫ মার্চ) দুপুরে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

মামলার এজাহার অনুযায়ী, ১৪ মার্চ ভুক্তভোগী নারী গাংনী থানায় এসে অভিযোগ করেন যে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি তার বাবার বাড়িতে থাকাকালে রাতের খাবার শেষে নিজের ঘরে চলে যান। ওই দিন রাত দুইটার দিকে তিনি ঘুম থেকে জেগে গিয়ে অনুভব করেন যে, তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে কেউ কিছু করছে। মোবাইলের আলো দিয়ে দেখে তিনি দেখেন, তার বাবা আশারুল ইসলাম বিছানায় বসে আছেন। তাকে জিজ্ঞাসা করলে, কোনো উত্তর না দিয়ে আসামি তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের পর আসামি নিজ কক্ষে চলে যায়।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছয় দিন নিজেকে ঘরে বন্দি রাখেন। পরে তার মা তাকে ঘর থেকে বের হতে বললে, তিনি ঘটনা খুলে বলেন এবং জানিয়ে দেন, এর আগে তার বাবা বিভিন্ন সময়ে তাকে শারীরিকভাবে লজ্জাজনকভাবে স্পর্শ করেছিল, কিন্তু সে লজ্জায় কাউকে কিছু বলেনি। এরপর ১৪ মার্চ থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করলে, পুলিশ দ্রুততম সময়ে আসামিকে গ্রেফতার করে এবং আদালতে পাঠায়।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার মাকসুদা আখতার ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গাংনী থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আসামিকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

সূত্র: dhakamail.com