ঢাকা ০৪:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

বিএনপি, জামায়াত ও চরমোনাই পীরের সমর্থকদের সংঘর্ষ, ১৫ জন আহত

অনলাইন ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:১৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫
  • / 41
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভোলার মনপুরা উপজেলার ৩নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে জেলেদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির (ভিজিএফ) চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি রোববার (২৩ মার্চ) সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সংঘটিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিজিএফ কার্ড বিতরণে বৈষম্যের অভিযোগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং চরমোনাই পীরের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে তিন পক্ষের নেতাকর্মীরা পরস্পরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সদস্য মো. নোমান, মো. মহিউদ্দিন, মো. মহিন, মো. রাশেদ, মো. আব্বাস, মো. কাউসারসহ ৯ জন মনপুরা উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদিকে, বিএনপির আহত সমর্থকদের মধ্যে রয়েছেন মো. মামুল, মো. এরশাদ, মো. আব্বাস, মো. সহিজল ও মো. মিল্লাদ।

জামায়াতে ইসলামীর উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আবু সুফিয়ান জানান, “শনিবার থেকে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে রোববারও এ কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু আমাদের কাউকে ডাকা হয়নি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসকের কাছে গেলে বিএনপির নোমান, মোশাররফ, সামছু, ফিরোজসহ তাদের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়, এবং এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়।”

অন্যদিকে, মনপুরা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. মোশারফ দালাল বলেন, “আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি।”

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন জানান, “চাল বিতরণের সময় আমি পরিষদের দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। হঠাৎ বাইরে মারামারি শুরু হয়। আমরা তখন মূল ফটক বন্ধ করে চাল বিতরণ স্থগিত করি। বাইরে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, তা আমার জানা নেই। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আবার বিতরণ শুরু করা হয়।”

মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান কবির জানান, “ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় কার্ড না পাওয়া নিয়ে বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও চরমোনাই পীরের অনুসারীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে এটি হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে কয়েকজন আহত হলেও কোনো পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি।” তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিএনপি, জামায়াত ও চরমোনাই পীরের সমর্থকদের সংঘর্ষ, ১৫ জন আহত

আপডেট সময় : ১২:১৫:০২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

ভোলার মনপুরা উপজেলার ৩নং উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়নে জেলেদের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির (ভিজিএফ) চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সমর্থকদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। ঘটনাটি রোববার (২৩ মার্চ) সকালে ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সংঘটিত হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ভিজিএফ কার্ড বিতরণে বৈষম্যের অভিযোগে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী এবং চরমোনাই পীরের অনুসারীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর জেরে তিন পক্ষের নেতাকর্মীরা পরস্পরের সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে। আহতদের মধ্যে জামায়াতে ইসলামীর সদস্য মো. নোমান, মো. মহিউদ্দিন, মো. মহিন, মো. রাশেদ, মো. আব্বাস, মো. কাউসারসহ ৯ জন মনপুরা উপজেলা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যদিকে, বিএনপির আহত সমর্থকদের মধ্যে রয়েছেন মো. মামুল, মো. এরশাদ, মো. আব্বাস, মো. সহিজল ও মো. মিল্লাদ।

জামায়াতে ইসলামীর উত্তর সাকুচিয়া ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আবু সুফিয়ান জানান, “শনিবার থেকে জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ শুরু হয়েছে। ঈদ উপলক্ষে রোববারও এ কার্যক্রম চলছিল। কিন্তু আমাদের কাউকে ডাকা হয়নি। আমরা ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসকের কাছে গেলে বিএনপির নোমান, মোশাররফ, সামছু, ফিরোজসহ তাদের নেতাকর্মীরা বাধা দেয়, এবং এরপরই সংঘর্ষ শুরু হয়।”

অন্যদিকে, মনপুরা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মো. মোশারফ দালাল বলেন, “আমরা ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করেছি।”

ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসিরউদ্দিন জানান, “চাল বিতরণের সময় আমি পরিষদের দ্বিতীয় তলায় ছিলাম। হঠাৎ বাইরে মারামারি শুরু হয়। আমরা তখন মূল ফটক বন্ধ করে চাল বিতরণ স্থগিত করি। বাইরে কী নিয়ে ঝামেলা হয়েছে, তা আমার জানা নেই। পরে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলে আবার বিতরণ শুরু করা হয়।”

মনপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসান কবির জানান, “ভিজিএফ চাল বিতরণের সময় কার্ড না পাওয়া নিয়ে বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামী ও চরমোনাই পীরের অনুসারীরা বাকবিতণ্ডায় জড়ায়। একপর্যায়ে এটি হাতাহাতি ও সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে কয়েকজন আহত হলেও কোনো পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক অভিযোগ পাইনি।” তিনি আরও জানান, এ বিষয়ে বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে একটি সমঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে, এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।