ঢাকা ১০:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

‘বাঁচতে চাই’—পলাশবাড়ীর নির্যাতিত নারীর আর্তনাদ

অনলাইন ডেস্ক
  • ১২:৫১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫
  • / 30
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় এক নারীকে গাছে বেঁধে নৃশংস নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারীকে একটি আমগাছের গোড়ায় দড়ি দিয়ে হাত ও কোমর বেঁধে রাখা হয়েছে। তাঁর মাথার মাঝখানে চুল কাটা, মুখে রং মাখানো, চোখেমুখে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন। অসহায় দৃষ্টিতে তিনি তাকিয়ে আছেন একপাশে।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিণাবাড়ী ইউনিয়নের একটি গ্রামে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলেন প্রতিবেদক। কণ্ঠজুড়ে কান্না আর ভয়ের ছাপ। তিনি জানান, “তারা আমাকে গাছে বেঁধে মারধর করে, চুল কেটে দেয়, জুতার মালা পরিয়ে অপমান করে। আমার অপরাধ কী—আমি শুধু কাপড় সেলাই করতে গিয়েছিলাম।”

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী ইউনুস মিয়া ও তার সহযোগীরা তাকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে। বাড়ি ফিরে আসার পরপরই তারা তার ওপর হামলা চালায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। পরে চুল কেটে, মুখে রং মেখে, জুতার মালা পরিয়ে বিবস্ত্র করে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: বিতর্কিত পোস্টে ফের আলোচনায় মেহের আফরোজ শাওন

এসময় তারা ভুক্তভোগীর ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তিনি বলেন, “আমার ঘরে গরু বিক্রির টাকা ছিল, তাও নিয়ে গেছে। এখন তারা বলছে—থানায় মামলা করলে আরও খারাপ হবে। আমি বাড়ি থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছি।”

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান মজনু বলেন, “আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গাছ থেকে তাকে মুক্ত করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। আমরা আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।”

এদিকে, অভিযুক্ত ইউনুস মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। বরং তাঁর লোকজন সংবাদকর্মীর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।

ঘটনার বিষয়ে হরিণাবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সবুজার আলী বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছি। ভুক্তভোগীকে থানায় গিয়ে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।”

নির্যাতনের এই ঘটনা এলাকায় চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মানবাধিকারকর্মীরা দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

প্রথম পোস্ট/এসএফ

‘বাঁচতে চাই’—পলাশবাড়ীর নির্যাতিত নারীর আর্তনাদ

১২:৫১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জুলাই ২০২৫

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায় এক নারীকে গাছে বেঁধে নৃশংস নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই নারীকে একটি আমগাছের গোড়ায় দড়ি দিয়ে হাত ও কোমর বেঁধে রাখা হয়েছে। তাঁর মাথার মাঝখানে চুল কাটা, মুখে রং মাখানো, চোখেমুখে নির্যাতনের স্পষ্ট চিহ্ন। অসহায় দৃষ্টিতে তিনি তাকিয়ে আছেন একপাশে।

ঘটনাটি ঘটেছে হরিণাবাড়ী ইউনিয়নের একটি গ্রামে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে কথা বলেন প্রতিবেদক। কণ্ঠজুড়ে কান্না আর ভয়ের ছাপ। তিনি জানান, “তারা আমাকে গাছে বেঁধে মারধর করে, চুল কেটে দেয়, জুতার মালা পরিয়ে অপমান করে। আমার অপরাধ কী—আমি শুধু কাপড় সেলাই করতে গিয়েছিলাম।”

ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, স্থানীয় প্রভাবশালী ইউনুস মিয়া ও তার সহযোগীরা তাকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করে। বাড়ি ফিরে আসার পরপরই তারা তার ওপর হামলা চালায়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। পরে চুল কেটে, মুখে রং মেখে, জুতার মালা পরিয়ে বিবস্ত্র করে রাখা হয়।

আরও পড়ুন: বিতর্কিত পোস্টে ফের আলোচনায় মেহের আফরোজ শাওন

এসময় তারা ভুক্তভোগীর ঘরে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। তিনি বলেন, “আমার ঘরে গরু বিক্রির টাকা ছিল, তাও নিয়ে গেছে। এখন তারা বলছে—থানায় মামলা করলে আরও খারাপ হবে। আমি বাড়ি থেকে বের হতেও ভয় পাচ্ছি।”

এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য আসাদুজ্জামান মজনু বলেন, “আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গাছ থেকে তাকে মুক্ত করে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি। আমরা আইনি সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।”

এদিকে, অভিযুক্ত ইউনুস মিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। বরং তাঁর লোকজন সংবাদকর্মীর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে।

ঘটনার বিষয়ে হরিণাবাড়ী পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সবুজার আলী বলেন, “প্রাথমিক তদন্তে আমরা নির্যাতনের সত্যতা পেয়েছি। ভুক্তভোগীকে থানায় গিয়ে মামলা করার জন্য বলা হয়েছে।”

নির্যাতনের এই ঘটনা এলাকায় চরম ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। মানবাধিকারকর্মীরা দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

প্রথম পোস্ট/এসএফ