ঢাকা ০৫:২৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
**সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ**
Logo শেখ মুজিবের জন্য ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে: শফিকুল আলম Logo আমরা বেঁচে থাকতে সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে নিহত Logo মৌলভীবাজারে শাহ মোস্তফা (রহ.)-এর ওরসে হাজারও ভক্ত অনুরাগী ও দর্শনার্থীদের সমাগম Logo গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ছাড়া এই সরকার বেআইনি ও অবৈধ Logo সংস্কার প্রতিবেদন থেকে নতুন চার্টার, তার ভিত্তিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে প্রেরণা মেধাবৃত্তি’র ফলাফল প্রকাশ Logo জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo শেরপুরে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা Logo মনে রাখবেন যারা অন্যায় করের তারা সংখ্যায় কম, আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাবে: সারজিস আলম

ব্যাটারিচালিত ‘শক মেশিন’ দিয়ে মাছ শিকার, জীববৈচিত্র্যে হুমকি

জেলা প্রতিনিধি, মুন্সীগঞ্জ
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪
  • / 98
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর শাখা নদীতে ব্যাটারিচালিত ‘বৈদ্যুতিক শক’ দিয়ে রাতের আঁধারে মাছ শিকার করার অভিযোগ উঠছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র। এছাড়া এর ফলে দিন দিন নদীতে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ জেলেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বড় রায়পাড়া, ভাটেরচর, ইসমানিরচর, বাউশিয়া ও নয়াকান্দি গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীর শাখা নদীতে রাতের আধারে কিছু অসাধু জেলে বৈদ্যুতিক ‘শক মেশিন’ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছেন।

স্থানীয়রা জানান, নদীতে ক্রমেই বাড়ছে কারেন্ট জাল, রিং জাল, চায়না চাই এর ব্যবহার। এ কারণে নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ মিলছে না। নতুন করে যোগ হয়েছে এই বৈদ্যুতিক ‘শক মেশিন’। এটির ফলে মাছ শিকার করায় পোনা, ডিমসহ অন্যান্য জলজপ্রাণীও মারা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় মাছের জন্য হাহাকার দেখা দেবে বলে মদনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে এয়ার ফ্রেশনার রিফিলের সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০

স্থানীয় জেলে জীবন বলেন, আগে নদীতে জাল ফেললেই মাছ পেতাম। এখন সারাদিন বসে থেকেও মাছের দেখা পাই না। আর যা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না। একেতো কারেন্ট জাল আর চায়না চাই দিয়ে ব্যাপক আকারে মাছ ধরে আগেই মাছের বংশ শেষ করে ফেলছে। এখন আবার যোগ হয়েছে বৈদ্যুতিক মেশিনের ব্যবহার। ওরা মাছ মনে নদীতে আর মাছই রাখবো না।

নয়াকান্দি গ্রামের জেলে সতীশ বলেন, নদীতে আগের তুলনায় মাছ পাওয়া যায় না। জেলেরা সারাদিন জাল নিয়া বসে থাকেন। সারাদিনে ৫০০ টাকার মাছও পান না। মেশিন দিয়েও ছোট বড় মাছগুলো মেরে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। সারাদিনে ২০০ টাকার মাছ পাই না। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারো দিন কাটাতে হবে।

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন,নদীতে এ ধরনের বৈদ্যুতিক ‘শক মেশিন’ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

 

প্রথম পোস্ট/ওএসআর

নিউজটি শেয়ার করুন

ব্যাটারিচালিত ‘শক মেশিন’ দিয়ে মাছ শিকার, জীববৈচিত্র্যে হুমকি

আপডেট সময় : ০৬:১৮:৫২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীর শাখা নদীতে ব্যাটারিচালিত ‘বৈদ্যুতিক শক’ দিয়ে রাতের আঁধারে মাছ শিকার করার অভিযোগ উঠছে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে জীববৈচিত্র। এছাড়া এর ফলে দিন দিন নদীতে মাছের সংখ্যা কমে যাওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ জেলেরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বড় রায়পাড়া, ভাটেরচর, ইসমানিরচর, বাউশিয়া ও নয়াকান্দি গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীর শাখা নদীতে রাতের আধারে কিছু অসাধু জেলে বৈদ্যুতিক ‘শক মেশিন’ দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছেন।

স্থানীয়রা জানান, নদীতে ক্রমেই বাড়ছে কারেন্ট জাল, রিং জাল, চায়না চাই এর ব্যবহার। এ কারণে নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ মিলছে না। নতুন করে যোগ হয়েছে এই বৈদ্যুতিক ‘শক মেশিন’। এটির ফলে মাছ শিকার করায় পোনা, ডিমসহ অন্যান্য জলজপ্রাণীও মারা যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় মাছের জন্য হাহাকার দেখা দেবে বলে মদনে করছেন তারা।

আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে এয়ার ফ্রেশনার রিফিলের সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১০

স্থানীয় জেলে জীবন বলেন, আগে নদীতে জাল ফেললেই মাছ পেতাম। এখন সারাদিন বসে থেকেও মাছের দেখা পাই না। আর যা পাই তা দিয়ে সংসার চলে না। একেতো কারেন্ট জাল আর চায়না চাই দিয়ে ব্যাপক আকারে মাছ ধরে আগেই মাছের বংশ শেষ করে ফেলছে। এখন আবার যোগ হয়েছে বৈদ্যুতিক মেশিনের ব্যবহার। ওরা মাছ মনে নদীতে আর মাছই রাখবো না।

নয়াকান্দি গ্রামের জেলে সতীশ বলেন, নদীতে আগের তুলনায় মাছ পাওয়া যায় না। জেলেরা সারাদিন জাল নিয়া বসে থাকেন। সারাদিনে ৫০০ টাকার মাছও পান না। মেশিন দিয়েও ছোট বড় মাছগুলো মেরে ফেলা হচ্ছে। যার ফলে মাছের সংকট দেখা দিয়েছে। সারাদিনে ২০০ টাকার মাছ পাই না। এভাবে চলতে থাকলে পরিবার-পরিজন নিয়ে অনাহারো দিন কাটাতে হবে।

এ বিষয়ে গজারিয়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন,নদীতে এ ধরনের বৈদ্যুতিক ‘শক মেশিন’ দিয়ে মাছ শিকার করা হচ্ছে বলে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। তবে এ বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।

 

প্রথম পোস্ট/ওএসআর