ঢাকা ০২:০২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
**সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ**
Logo শেখ মুজিবের জন্য ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে: শফিকুল আলম Logo আমরা বেঁচে থাকতে সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে নিহত Logo মৌলভীবাজারে শাহ মোস্তফা (রহ.)-এর ওরসে হাজারও ভক্ত অনুরাগী ও দর্শনার্থীদের সমাগম Logo গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ছাড়া এই সরকার বেআইনি ও অবৈধ Logo সংস্কার প্রতিবেদন থেকে নতুন চার্টার, তার ভিত্তিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে প্রেরণা মেধাবৃত্তি’র ফলাফল প্রকাশ Logo জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo শেরপুরে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা Logo মনে রাখবেন যারা অন্যায় করের তারা সংখ্যায় কম, আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাবে: সারজিস আলম

ভারতে মসজিদসহ সব উপাসনাস্থলে সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 38
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ভারতে সব মন্দির, মসজিদ ও গির্জায় সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মন্দির বা মসজিদ নিয়ে নতুন করে কোনো মামলাও করা যাবে না এখনই। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, আগে এসংক্রান্ত মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হবে, তারপর নতুন মামলা গৃহীত হবে আদালতে।

পাশাপাশি নিম্ন আদালতগুলোতে এসংক্রান্ত মামলায় এখনই তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। উপাসনাস্থল আইন মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেও।
গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদলাতে চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল দেশটির সুপ্রিম কোর্টে।

সাড়ে তিন বছর ধরে সেগুলোর কোনো শুনানিই হয়নি। বৃহস্পতিবার ছিল এসংক্রান্ত মামলার শুনানির দিন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি পি ভি সঞ্জয় কুমার ও কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে উপসনাস্থল আইন মামলার শুনানি হয়।
আদালত জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দেশে মন্দির, মসজিদ বা অন্য উপাসনাস্থল নিয়ে যত মামলা চলছে, যত সমীক্ষা চলছে, তা আপাতত স্থগিত থাকবে।

নিম্ন আদালত, এমনকি হাইকোর্টগুলোকেও এসংক্রান্ত মামলায় আপাতত তাৎপর্যপূর্ণ কোনো নির্দেশ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। নিম্ন আদালতগুলো এসংক্রান্ত নতুন কোনো মামলাও শুনবে না। সুপ্রিম কোর্টে উপাসনাস্থল আইন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।
উপাসনাস্থল আইনের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোতে বৃহস্পতিবারও কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিবেদন আকারে তা জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১২ মার্চ উপাসনাস্থল আইনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য আদালতের কাছে সময় চাওয়ায় একাধিকবার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। এখনো তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।

১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী, কোনো মন্দির, মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টানো যাবে না। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রাখতে হবে। কিন্তু এই আইনে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীদের পক্ষ বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ-২২৬ অনুযায়ী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আদালতের কাছে তাদের ক্ষোভ জানাতে পারছে না। ওই আইনের জন্য ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে ‘দখলীকৃত’ হিন্দু ধর্মস্থানের ধর্মীয় চরিত্র পুনরুদ্ধার করা যাচ্ছে না বলেও দাবি করেন মামলাকারীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভারতে মসজিদসহ সব উপাসনাস্থলে সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ

আপডেট সময় : ০১:১২:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪

ভারতে সব মন্দির, মসজিদ ও গির্জায় সমীক্ষায় স্থগিতাদেশ দিলেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। মন্দির বা মসজিদ নিয়ে নতুন করে কোনো মামলাও করা যাবে না এখনই। ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

শীর্ষ আদালত জানিয়েছেন, আগে এসংক্রান্ত মামলাগুলোর নিষ্পত্তি হবে, তারপর নতুন মামলা গৃহীত হবে আদালতে।

পাশাপাশি নিম্ন আদালতগুলোতে এসংক্রান্ত মামলায় এখনই তাৎপর্যপূর্ণ নির্দেশ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। উপাসনাস্থল আইন মামলার শুনানিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকেও।
গণমাধ্যমটির তথ্য অনুসারে, ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইন বদলাতে চেয়ে একাধিক মামলা হয়েছিল দেশটির সুপ্রিম কোর্টে।

সাড়ে তিন বছর ধরে সেগুলোর কোনো শুনানিই হয়নি। বৃহস্পতিবার ছিল এসংক্রান্ত মামলার শুনানির দিন। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না, বিচারপতি পি ভি সঞ্জয় কুমার ও কে ভি বিশ্বনাথনের বেঞ্চে উপসনাস্থল আইন মামলার শুনানি হয়।
আদালত জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দেশে মন্দির, মসজিদ বা অন্য উপাসনাস্থল নিয়ে যত মামলা চলছে, যত সমীক্ষা চলছে, তা আপাতত স্থগিত থাকবে।

নিম্ন আদালত, এমনকি হাইকোর্টগুলোকেও এসংক্রান্ত মামলায় আপাতত তাৎপর্যপূর্ণ কোনো নির্দেশ দিতে নিষেধ করা হয়েছে। নিম্ন আদালতগুলো এসংক্রান্ত নতুন কোনো মামলাও শুনবে না। সুপ্রিম কোর্টে উপাসনাস্থল আইন মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ জারি থাকবে।
উপাসনাস্থল আইনের বিরুদ্ধে করা মামলাগুলোতে বৃহস্পতিবারও কেন্দ্রের বক্তব্য জানতে চেয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। কেন্দ্রীয় সরকারকে প্রতিবেদন আকারে তা জানাতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১২ মার্চ উপাসনাস্থল আইনের বিরুদ্ধে হওয়া মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বক্তব্য জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সরকার নিজেদের বক্তব্য জানানোর জন্য আদালতের কাছে সময় চাওয়ায় একাধিকবার এই মামলার শুনানি পিছিয়ে যায়। এখনো তারা নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেনি।

১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল (বিশেষ ব্যবস্থা) আইন অনুযায়ী, কোনো মন্দির, মসজিদ বা গির্জার চরিত্র পাল্টানো যাবে না। ১৯৪৭ সালে স্বাধীনতার সময় যেখানে যা ছিল, তেমনটাই রাখতে হবে। কিন্তু এই আইনে বদল চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়। মামলাকারীদের পক্ষ বলা হয়, সংবিধানের অনুচ্ছেদ-২২৬ অনুযায়ী, হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আদালতের কাছে তাদের ক্ষোভ জানাতে পারছে না। ওই আইনের জন্য ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্টের আগে ‘দখলীকৃত’ হিন্দু ধর্মস্থানের ধর্মীয় চরিত্র পুনরুদ্ধার করা যাচ্ছে না বলেও দাবি করেন মামলাকারীরা।