ঢাকা ১০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

মিশরের রানিদের সৌন্দর্যের গোপন রহস্য, যা আজও অবাক করে!

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • ০৪:২৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫
  • / 143

ছবি: সংগৃহীত

প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

মিশরের প্রাচীন রাণিদের সৌন্দর্য আজও ইতিহাসপ্রেমী ও গবেষকদের মুগ্ধ করে। নেফারতিতি ও ক্লিওপেট্রার মতো বিখ্যাত রানিদের অপরূপ সৌন্দর্যের রহস্য কী ছিল? প্রাচীন মিশরীয়দের জীবনধারা ও রূপচর্চার পদ্ধতি ঘেঁটে সেই রহস্যের সন্ধান পাওয়া যায়।

প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার: মিশরের রানিরা তাদের সৌন্দর্য ধরে রাখতে একাধিক প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতেন। দুধ ও মধুর মিশ্রণে তৈরি বিশেষ ধরনের ফেসপ্যাক তারা নিয়মিত ব্যবহার করতেন, যা ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল রাখত। ইতিহাসে বলা হয়, ক্লিওপেট্রা গোসলের জন্য গাধার দুধ ব্যবহার করতেন, যা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করত।

প্রাকৃতিক মেকআপ ও কাজল: চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে মিশরীয় নারীরা কাজল ব্যবহার করতেন, যা তৈরি হতো বিশেষ ধরনের খনিজ উপাদান ও কয়লার সংমিশ্রণে। এটি শুধু সৌন্দর্যই নয়, চোখকে ধুলাবালি ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখত। এছাড়া, লালচে টোনের লিপস্টিকের জন্য তারা খনিজ ও ফলের নির্যাস ব্যবহার করতেন।

তৈল ও সুগন্ধি: সৌন্দর্যের পাশাপাশি সুগন্ধি ব্যবহারে মিশরীয় রানিদের বেশ খ্যাতি ছিল। বিভিন্ন উদ্ভিদের নির্যাস, গোলাপজল, ওলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে বিশেষ ধরনের সুগন্ধি তৈল তৈরি করা হতো, যা তাদের ত্বককে সজীব রাখত।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: রানিদের সৌন্দর্যের অন্যতম রহস্য ছিল তাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। প্রচুর ফল, বাদাম, মধু, ও জলপাই তেলের ব্যবহার তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াত। পর্যাপ্ত পানি পান করাও তাদের সৌন্দর্য ধরে রাখার অন্যতম উপায় ছিল।

সৌন্দর্যের সাথে স্বাস্থ্যসচেতনতা: প্রাচীন মিশরীয়রা সৌন্দর্যচর্চাকে শুধু বাহ্যিক বিষয় হিসেবে দেখেনি, বরং সুস্থ জীবনযাত্রার সঙ্গে সংযুক্ত করেছিল। তাই তারা যোগব্যায়াম ও বিভিন্ন শারীরিক কসরতেও মনোযোগ দিত।

মিশরের রানিদের সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়, বরং তাদের ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন ছিল। আজকের যুগেও প্রাকৃতিক উপাদান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মাধ্যমে সেই সৌন্দর্যের কিছুটা অনুসরণ করা সম্ভব।

মিশরের রানিদের সৌন্দর্যের গোপন রহস্য, যা আজও অবাক করে!

০৪:২৬:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫

মিশরের প্রাচীন রাণিদের সৌন্দর্য আজও ইতিহাসপ্রেমী ও গবেষকদের মুগ্ধ করে। নেফারতিতি ও ক্লিওপেট্রার মতো বিখ্যাত রানিদের অপরূপ সৌন্দর্যের রহস্য কী ছিল? প্রাচীন মিশরীয়দের জীবনধারা ও রূপচর্চার পদ্ধতি ঘেঁটে সেই রহস্যের সন্ধান পাওয়া যায়।

প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার: মিশরের রানিরা তাদের সৌন্দর্য ধরে রাখতে একাধিক প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করতেন। দুধ ও মধুর মিশ্রণে তৈরি বিশেষ ধরনের ফেসপ্যাক তারা নিয়মিত ব্যবহার করতেন, যা ত্বককে কোমল ও উজ্জ্বল রাখত। ইতিহাসে বলা হয়, ক্লিওপেট্রা গোসলের জন্য গাধার দুধ ব্যবহার করতেন, যা প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করত।

প্রাকৃতিক মেকআপ ও কাজল: চোখের সৌন্দর্য বাড়াতে মিশরীয় নারীরা কাজল ব্যবহার করতেন, যা তৈরি হতো বিশেষ ধরনের খনিজ উপাদান ও কয়লার সংমিশ্রণে। এটি শুধু সৌন্দর্যই নয়, চোখকে ধুলাবালি ও সংক্রমণ থেকে সুরক্ষিত রাখত। এছাড়া, লালচে টোনের লিপস্টিকের জন্য তারা খনিজ ও ফলের নির্যাস ব্যবহার করতেন।

তৈল ও সুগন্ধি: সৌন্দর্যের পাশাপাশি সুগন্ধি ব্যবহারে মিশরীয় রানিদের বেশ খ্যাতি ছিল। বিভিন্ন উদ্ভিদের নির্যাস, গোলাপজল, ওলিভ অয়েল এবং মধু মিশিয়ে বিশেষ ধরনের সুগন্ধি তৈল তৈরি করা হতো, যা তাদের ত্বককে সজীব রাখত।

স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস: রানিদের সৌন্দর্যের অন্যতম রহস্য ছিল তাদের স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস। প্রচুর ফল, বাদাম, মধু, ও জলপাই তেলের ব্যবহার তাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াত। পর্যাপ্ত পানি পান করাও তাদের সৌন্দর্য ধরে রাখার অন্যতম উপায় ছিল।

সৌন্দর্যের সাথে স্বাস্থ্যসচেতনতা: প্রাচীন মিশরীয়রা সৌন্দর্যচর্চাকে শুধু বাহ্যিক বিষয় হিসেবে দেখেনি, বরং সুস্থ জীবনযাত্রার সঙ্গে সংযুক্ত করেছিল। তাই তারা যোগব্যায়াম ও বিভিন্ন শারীরিক কসরতেও মনোযোগ দিত।

মিশরের রানিদের সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়, বরং তাদের ব্যক্তিত্ব, বুদ্ধিমত্তা ও ঐতিহ্যের প্রতিফলন ছিল। আজকের যুগেও প্রাকৃতিক উপাদান ও স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার মাধ্যমে সেই সৌন্দর্যের কিছুটা অনুসরণ করা সম্ভব।