এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত নয় বাংলাদেশ: সিপিডি

- আপডেট সময় : ০৪:০৮:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
- / 60
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ড. ফাহমিদা খাতুন বলেছেন, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা এখনো স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত নন। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ে শুল্ক সুবিধা হারানোর কারণে রপ্তানি খাতে বছরে প্রায় ৮ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হতে পারে। পাশাপাশি, জলবায়ু অর্থায়নেও উন্নয়ন সহযোগিতা হ্রাস পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাজধানীর এফডিসিতে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি আয়োজিত ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ফাহমিদা খাতুন আরও উল্লেখ করেন, বিগত সরকারের সময়ে অর্থনৈতিক তথ্য গোঁজামিলপূর্ণ ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ছিল। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) ব্যবহার করে সরকার তার পছন্দমতো তথ্য উপস্থাপন করত। এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের পর বাংলাদেশকে কঠোর শর্তে ঋণ নিতে হবে, যা পরিশোধ করা কঠিন হবে। বিশেষ করে, চীনের ঋণের স্বচ্ছতা নিয়ে বরাবরই সন্দেহ থেকে যায়। তাই ঋণ ব্যবস্থাপনায় সুশাসন ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি।
আরও পড়ুন: শরীয়তপুরে জাকের পার্টির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের প্রস্তুতি গ্রহণের উদ্যোগ নিলেও প্রশ্ন থেকে যায়, বিগত সরকারের অতিরঞ্জিত ও ভুল তথ্যের ভিত্তিতে কি বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি পেতে চলেছে? অর্থনৈতিক তথ্য বিকৃত করে উন্নয়নের মিথ্যা চিত্র তুলে ধরা হয়েছিল, যা দেশের প্রকৃত অবস্থা প্রতিফলিত করে না।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় অর্থ অপচয় করে বিদেশে রোড শোর নামে বিলাসী ভ্রমণ পরিচালিত হয়েছে। ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন পাঁচ তারকা হোটেলে বসে সুদহার ও ডলারের মূল্য নির্ধারণ করত, যা অর্থনীতির জন্য ক্ষতিকর ছিল। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে তথ্য জালিয়াতির যে চর্চা হয়েছে, তা এখন এলডিসি গ্র্যাজুয়েশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ছায়া সংসদ প্রতিযোগিতায় শহিদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের বিতার্কিক দল বিজয়ী হয়, পরাজিত হয় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দল। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, ড. শেখ মোহাম্মদ জোবায়েদ হোসেন, ড. এস এম মোর্শেদ, সাংবাদিক মাঈনুল আলম ও মো. তৌহিদুল ইসলাম।
সূত্র: khaborerkagoj