ঢাকা বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় শীর্ষে

- আপডেট সময় : ০৪:৪৪:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
- / 43
বিশ্বের দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় শনিবার (২২ মার্চ) শীর্ষ অবস্থান দখল করেছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী আন্তর্জাতিক সংস্থা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (আইকিউএয়ার) এর সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের ১২৪টি শহরের মধ্যে ঢাকার বায়ু দূষণের স্কোর ২২৬, যা ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ হয়েছে। এ তথ্য শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে প্রকাশিত সূচক থেকে প্রাপ্ত হয়েছে।
আইকিউএয়ারের প্রতিবেদন অনুসারে, দূষণের মাত্রার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর, যার স্কোর ১৯১। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়া দিল্লি, যার বায়ু দূষণের স্কোর ১৮৯। এই তিন শহরই বর্তমানে উচ্চমাত্রার বায়ু দূষণের কারণে জনস্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।
আইকিউএয়ার সূচক অনুযায়ী, বায়ুর মানকে বিভিন্ন স্তরে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়। ০ থেকে ৫০ স্কোরকে ‘ভালো’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ। ৫১ থেকে ১০০ স্কোর ‘মাঝারি’ বা সহনীয় বলে গণ্য হয়। ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর সংবেদনশীল গোষ্ঠী (শিশু, বয়স্ক ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তি) এর জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১ থেকে ২০০ স্কোর সাধারণ জনগণের জন্য অস্বাস্থ্যকর, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খুবই অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১ বা তার বেশি হলে তা ‘দুর্যোগপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়। ঢাকার বর্তমান স্কোর ২২৬ থাকায় এটি ‘অস্বাস্থ্যকর’ শ্রেণীতে পড়েছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগজনক।
আর পড়ুন: তারেক রহমান ফিরছেন? বারিধারায় চলছে বাড়ির জোর প্রস্তুতি!
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এমন অস্বাস্থ্যকর বায়ুর সংস্পর্শে থাকলে শ্বাসকষ্ট, হৃদরোগ, ফুসফুসের সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে। ঢাকার বায়ু দূষণের প্রধান কারণ হিসেবে যানবাহনের ধোঁয়া, নির্মাণ কার্যক্রমের ধুলো এবং শিল্প কারখানার নির্গমনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
এ পরিস্থিতিতে জনস্বাস্থ্য রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। পরিবেশ সংরক্ষণ এবং বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের দাবিও উঠেছে।
এদিকে, আইকিউএয়ারের তথ্য প্রকাশের পর থেকে ঢাকার বায়ুর মান নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন নগরবাসী। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।