ঢাকা ০১:৪২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫

ঈদযাত্রা শুরু: ঢিলেঢালা টিকিট চেকিংয়ে প্রশ্ন যাত্রীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • ০৫:৫০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫
  • / 86
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) ভোর ৬টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঈদযাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।

যাত্রীদের নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল ভ্রমণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে বাস্তবে এই চেকিং কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, পার্কিং এরিয়ার পর প্রথম ধাপে টিকিট পরীক্ষা করা হলেও বেশিরভাগ যাত্রী কোনো বাধা ছাড়াই স্টেশনে প্রবেশ করছেন। কিছু টিকিটবিহীন যাত্রী ধরা পড়লেও তাদের থেকে শুধুমাত্র গন্তব্য স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ও ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় চেকিং কাউন্টারগুলোর সামনে করা হলেও এখানে মাত্র কয়েকজনের টিকিট পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ চেকিং হয় প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে, যেখানে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি থাকলেও যাত্রীদের টিকিট কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়নি।

স্টেশনে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের টহল দেখা গেলেও চেকিং কার্যক্রম ছিল ঢিলেঢালা। যাত্রীদের মধ্যে অনেকে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যাত্রী নাহিদ হাসান বলেন, “প্রথম চেকিংয়ে কেউ কিছু জানতে চায়নি, দ্বিতীয় চেকিংয়ে শুধু টিকিট আছে কিনা জানতে চেয়েছে, আর তৃতীয় চেকিংয়েও তেমন কিছু হয়নি। তারা নিজেদের মধ্যে গল্প করছিলেন। তাহলে এত আয়োজনের দরকার কী?”

এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, “আমি নিজেই প্রবেশপথে ছিলাম, চেকিং যথাযথভাবেই করা হচ্ছে। তবে যখন যাত্রী কম থাকে, তখন লোকবল কম থাকতে পারে। আমরা সঠিকভাবে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।”

যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন যাত্রীরা।

ঈদযাত্রা শুরু: ঢিলেঢালা টিকিট চেকিংয়ে প্রশ্ন যাত্রীদের

০৫:৫০:০৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ মার্চ ২০২৫

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হয়েছে। সোমবার (২৪ মার্চ) ভোর ৬টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার মধ্য দিয়ে ঈদযাত্রার আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।

যাত্রীদের নিরাপদ ও সুশৃঙ্খল ভ্রমণ নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ রেলওয়ে তিন স্তরের টিকিট চেকিং ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। তবে বাস্তবে এই চেকিং কার্যক্রম যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

সকাল সোয়া ৯টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ঘুরে দেখা যায়, পার্কিং এরিয়ার পর প্রথম ধাপে টিকিট পরীক্ষা করা হলেও বেশিরভাগ যাত্রী কোনো বাধা ছাড়াই স্টেশনে প্রবেশ করছেন। কিছু টিকিটবিহীন যাত্রী ধরা পড়লেও তাদের থেকে শুধুমাত্র গন্তব্য স্টেশন পর্যন্ত ভাড়া ও ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হচ্ছে।

দ্বিতীয় চেকিং কাউন্টারগুলোর সামনে করা হলেও এখানে মাত্র কয়েকজনের টিকিট পরীক্ষা করা হয়েছে। সর্বশেষ চেকিং হয় প্ল্যাটফর্মে ঢোকার আগে, যেখানে রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতি থাকলেও যাত্রীদের টিকিট কঠোরভাবে পরীক্ষা করা হয়নি।

স্টেশনে দায়িত্বরত নিরাপত্তা বাহিনী, র‌্যাব ও পুলিশের টহল দেখা গেলেও চেকিং কার্যক্রম ছিল ঢিলেঢালা। যাত্রীদের মধ্যে অনেকে এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যাত্রী নাহিদ হাসান বলেন, “প্রথম চেকিংয়ে কেউ কিছু জানতে চায়নি, দ্বিতীয় চেকিংয়ে শুধু টিকিট আছে কিনা জানতে চেয়েছে, আর তৃতীয় চেকিংয়েও তেমন কিছু হয়নি। তারা নিজেদের মধ্যে গল্প করছিলেন। তাহলে এত আয়োজনের দরকার কী?”

এ বিষয়ে ঢাকা রেলওয়ে স্টেশনের ব্যবস্থাপক শাহাদাত হোসেন বলেন, “আমি নিজেই প্রবেশপথে ছিলাম, চেকিং যথাযথভাবেই করা হচ্ছে। তবে যখন যাত্রী কম থাকে, তখন লোকবল কম থাকতে পারে। আমরা সঠিকভাবে চেকিংয়ের ব্যবস্থা করেছি।”

যাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে কর্তৃপক্ষের নজরদারি আরও কঠোর হওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন যাত্রীরা।