বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের বিজয় দিবস র্যালি
‘আর কোনও দলের না, ৭১ এখন সবার’
- আপডেট সময় : ০৬:১৬:৪৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৪
- / 21
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের সংগ্রাম ও বিজয় স্মরণে র্যালি করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সোমবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে র্যালি শুরু হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি-শাহবাগ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে আবার শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিজয় র্যালিতে অংশ নিতে সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনাারে খন্ড-খন্ড মিছিল নিয়ে জড়ো হতে শুরু করেন রাজধানীর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। সময় যত গড়ায় ততই ছাত্র-জনতার উপস্থিতিতে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ পূর্ণ হয়ে উঠে। র্যালির শুরুর পূর্বে শহীদ মিনারে বিজয় উল্লাসে মেতে ওঠে শিক্ষার্থীরা। এসময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে দেশত্মাবোধক গান বাজানো হয়।
বেলা ১১টার দিকে শহীদ মিনার থেকে বিজয় র্যালি বের হয়। ব্যানারে ‘আজাদী’-৪৭, মুক্তিযুদ্ধ-৭১ এবং স্বাধীনতা-২৪ লেখা হয়েছে। এছাড়াও এতে বিভিন্ন প্ল্যাকার্ডে ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’, ‘ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে, ৭১ এসে ২৪-এ মিশে’ প্রভৃতি লেখা দেখা যায়। এছাড়াও মিছিলে ‘তোমার দেশ আমার দেশ, বাংলাদেশ বাংলাদেশ’, ‘একাত্তরের শহীদেরা, লও লও লও সালাম’, ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘মুজিববাদ মুর্দাবাদ, ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ প্রভৃতি স্লোগান দেওয়া হয়।
র্যালির প্রথম সারিতে জুলাই অভ্যুত্থানের স্মরণে আন্দোলনে আহতরা অবস্থান নেন। দ্বিতীয় সারিতে শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীসহ ১৯৪৭ ও ১৯৭১ এর নেতৃত্বকে স্মরণ করে তাদের ছবি হাতে নিয়ে অবস্থান করেন ছাত্র-জনতা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, সদস্যসচিব আরিফ সোহেলসহ নির্বাহী কমিটি, দপ্তর ও মিডিয়া সেলের সদস্য ও রাজধানীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়করা র্যালিতে অংশ নেন।
সমাবেশে সমন্বয়ক রিফাত রশিদ বলেন, ‘আওয়ামী আমলে যে বিজয় দিবস আসতো, তখন আমরা আফসোস করে বলতাম সত্যিকারের বিজয় আমরা এখনও অর্জন করতে পারিনি। তখন মনে হতো, শহীদদের রক্তের দাম আমরা এখনও দিতে পারিনি। কিন্তু এখন আমরা সত্যিকারের বিজয় অর্জন করতে পেরেছি। ৭১ এখন আর কোনও দলের না, ৭১ এখন সবার।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল বলেন, ‘৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামকে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট গোষ্ঠী কুক্ষিগত করে রেখেছিল। পাকিস্তানি গণহত্যার বিরুদ্ধে এ দেশের সব মানুষ এক হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যখন যুদ্ধ করেছিল, তখন ভারতে পালিয়ে গিয়েও অনেকে যুদ্ধে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্রেডিট নিয়েছে। সবশেষে এ দেশে বাকশাল প্রতিষ্ঠা করে গণতন্ত্রকে কবর দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব এখনও পুরোপুরিভাবে অর্জিত হয়নি। এই লড়াই চলমান। ২৪ এর আন্দোলনের অনুপ্রেরণায় আমরা আমাদের চ‚ড়ান্ত লক্ষ্যে পৌঁছাবো।’