ঢাকা ১০:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৮ অগাস্ট ২০২৫

নতুন কুতুব সৃষ্টি করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

অনলাইন ডেস্ক
  • ০৮:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫
  • / 212
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন নতুন কুতুব সৃষ্টি করা হচ্ছে, যারা দেশের পরিস্থিতিকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা মেনে নেওয়া হবে না।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলেছেন, সংকটের একমাত্র সমাধান হল নির্বাচন। তারা অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় ‘শহীদ জিয়ার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধের সূচনা’ শিরোনামে বক্তব্য রাখেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা জানান, সংকট এখনও চলছে এবং নির্বাচন পেছানোর কোনো যুক্তি নেই। তারা বলেন, নির্বাচন না হলে দেশে পতিত স্বৈরাচারী শক্তি ও তাদের সহযোগীদের ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ পাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “প্রতিটি মুক্তির আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল বিএনপি, এবং ভুক্তভোগীও বিএনপির বেশি।” তিনি আরও জানান, স্বৈরাচার পতনের পর গণতন্ত্রের পথ বাধাগ্রস্ত হতে চলেছে। তিনি প্রশ্ন তুলেন, বর্তমান সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে কি জনগণের ভোটাধিকার আবারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে?

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “নির্বাচনই সব সমস্যার সমাধান, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো।” তিনি আরও জানান, নির্বাচন পেছানোর জন্য বর্তমানে ষড়যন্ত্র চলছে, তবে জনগণ নির্বাচনের দিকে আগ্রহী থাকবে, এবং কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, “বিপ্লব হঠাৎ করে হয়নি, এর ভিত্তি তৈরি করেছে বিএনপি।” তিনি অভিযোগ করেন, কিছু মহল নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এছাড়া, তিনি সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, “৭১ সালের নৃশংস ঘটনার জন্য পাকিস্তান এখনও ক্ষমা চায়নি, তাদের সহযোগীরা এখন কীভাবে গলা ফুলিয়ে কথা বলছে, সেটি নিয়ে ভাবার বিষয় রয়েছে।”

মোট কথা, বিএনপি নেতারা বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান হিসেবে অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন, এবং এ পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

নতুন কুতুব সৃষ্টি করে দেশকে নৈরাজ্যের দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে: মির্জা ফখরুল

০৮:৩৬:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মন্তব্য করেছেন যে, সোশ্যাল মিডিয়ায় নতুন নতুন কুতুব সৃষ্টি করা হচ্ছে, যারা দেশের পরিস্থিতিকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যেতে চায়। তিনি আরও বলেন, সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা মেনে নেওয়া হবে না।

২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে রাজধানী ঢাকায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে আয়োজিত আলোচনা সভায় বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলেছেন, সংকটের একমাত্র সমাধান হল নির্বাচন। তারা অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারের মাধ্যমে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছেন।

বিএনপির আয়োজিত আলোচনা সভায় ‘শহীদ জিয়ার ঘোষণা, মুক্তিযুদ্ধের সূচনা’ শিরোনামে বক্তব্য রাখেন দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। কেন্দ্রীয় নেতারা দেশের বর্তমান পরিস্থিতি ও স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। তারা জানান, সংকট এখনও চলছে এবং নির্বাচন পেছানোর কোনো যুক্তি নেই। তারা বলেন, নির্বাচন না হলে দেশে পতিত স্বৈরাচারী শক্তি ও তাদের সহযোগীদের ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ পাবে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “প্রতিটি মুক্তির আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল বিএনপি, এবং ভুক্তভোগীও বিএনপির বেশি।” তিনি আরও জানান, স্বৈরাচার পতনের পর গণতন্ত্রের পথ বাধাগ্রস্ত হতে চলেছে। তিনি প্রশ্ন তুলেন, বর্তমান সরকারের প্রকল্পের মাধ্যমে কি জনগণের ভোটাধিকার আবারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে?

স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “নির্বাচনই সব সমস্যার সমাধান, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো।” তিনি আরও জানান, নির্বাচন পেছানোর জন্য বর্তমানে ষড়যন্ত্র চলছে, তবে জনগণ নির্বাচনের দিকে আগ্রহী থাকবে, এবং কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

আলোচনা সভায় মির্জা ফখরুল বলেন, “বিপ্লব হঠাৎ করে হয়নি, এর ভিত্তি তৈরি করেছে বিএনপি।” তিনি অভিযোগ করেন, কিছু মহল নতুন করে নৈরাজ্য সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। এছাড়া, তিনি সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা কঠোরভাবে প্রত্যাখ্যান করেন এবং দলের নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকতে বলেন।

এ সময় তিনি আরও বলেন, “৭১ সালের নৃশংস ঘটনার জন্য পাকিস্তান এখনও ক্ষমা চায়নি, তাদের সহযোগীরা এখন কীভাবে গলা ফুলিয়ে কথা বলছে, সেটি নিয়ে ভাবার বিষয় রয়েছে।”

মোট কথা, বিএনপি নেতারা বর্তমান সংকটের একমাত্র সমাধান হিসেবে অবিলম্বে নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন, এবং এ পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য জনগণের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।