ঢাকা ১১:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
**সদ্যপ্রাপ্ত সংবাদ**
Logo শেখ মুজিবের জন্য ১০ লাখ মানুষ মারা গেছে: শফিকুল আলম Logo আমরা বেঁচে থাকতে সীমান্তে কেউ আসতে পারবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে যুবদল নেতা ছুরিকাঘাতে নিহত Logo মৌলভীবাজারে শাহ মোস্তফা (রহ.)-এর ওরসে হাজারও ভক্ত অনুরাগী ও দর্শনার্থীদের সমাগম Logo গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র ছাড়া এই সরকার বেআইনি ও অবৈধ Logo সংস্কার প্রতিবেদন থেকে নতুন চার্টার, তার ভিত্তিতেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo মৌলভীবাজারে প্রেরণা মেধাবৃত্তি’র ফলাফল প্রকাশ Logo জাকের পার্টি ছাত্রফ্রন্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ছাত্র সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo শেরপুরে চলছে প্রায় ২০০ বছরের ঐতিহ্যবাহী মাছের মেলা Logo মনে রাখবেন যারা অন্যায় করের তারা সংখ্যায় কম, আপনারা দাঁড়িয়ে গেলে শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যাবে: সারজিস আলম

আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে : মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / 54
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল আওয়ামী লীগ। শেয়ালকে যদি মুরগির খাঁচায় ঢোকানো হয় তাহলে কী হবে, ঠিক সেরকমই করে নিজেরা ঢুকে ভোট দিয়ে দিত, জনগণকে ভোট দিতে দিত না।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটের অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নিজের অধিকার আদায়ে সবাইকে ৫ আগস্টের মতো আবারও রাজপথে নেমে আসতে হবে। দেশের সংস্কার চান, নাকি হাসিনার নৌকায় যাবেন, সিদ্ধান্ত জনগণের।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভোট চাইতে আসি নাই। দেশ, মাটি, মানুষের জন্য প্রয়োজন হলে আবার ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ মুজিব ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোট দেয়ার জন্য, ভালো থাকার জন্য, কম দামে খাওয়ার জন্য, মা-বোনদের কাপড়ের জন্য, ভালো অর্থনীতি চেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের মানুষ আশা করেছিল শেখ মুজিব বড় নেতা, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু দেশের মানুষ শান্তি পায়নি। যে দলটাকে সাধারণ মানুষ ভালোবাসত, কিন্তু তারাই জনগণের ওপর চড়াও হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের পর। তাদের দুর্নীতি, নির্যাতন, খুন-গুমের কারণে অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেছিল।

এ সময় বিএনপির দীর্ঘ সময়ের রাজপথের আন্দোলন ও ত্যাগেই শেখ হাসিনার পতন সম্ভব হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে বলে বিএনপি তো পারে নাই, কিন্তু বিএনপি ১৫ বছর লড়াই করেছে বলেই তো ছাত্র-জনতা হাসিনাকে বিদায় দিতে পেরেছে। তোমরা সাহস করে দাঁড়িয়ে গেছ বলে সাধুবাদ জানাই। তবে বিএনপির ত্যাগ নির্যাতন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থায় উগ্রবাদ মোকাবেলা ও প্রতিহত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িকতা নেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। কৃষক, শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা হবে। আর গায়েবি মামলা হবে না। দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এ সময় তিনি দায়িত্বশীলদের আরও সচেতন ও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, অনেকে যারা দ্বায়িত্বশীল যায়গায় আছেন, তাদের উল্টাপাল্টা কথা বন্ধ করতে হবে। দায়িত্বশীল জায়গায় বসে ভুল কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। দেশের মানুষ অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে এবার শান্তি চায়। মানুষ নির্বাচন চায়, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চায়।

মর্জা ফখরুল বলেন, যারা বলছে বিএনপি কিছু করেনি, তারাই সব একাই করেছে, তাদের বিএনপির ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। বিএনপি ১৫ বছর নির্যাতন গুম-হত্যা সহ্য করে লড়াই করেছে বলেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়েছে। ৭ লাখ মামলা ৩০ লাখ আসামি, আয়নাঘরে নিয়ে নির্যাতন, আওয়ামী লীগ এসব করে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এত পাপ করেছে তারা যে আর পালানো ছাড়া পথ ছিল না।

ছাত্র-জনতাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনেকে বলে বিএনপিতো পারে নাই, বিএনপি ১৫ বছর লড়াই করেছে বলেইতো ছাত্র-জনতা সাহস করে দাঁড়িয়ে গেছে। তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে বিএনপির ত্যাগ নির্যাতন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগ নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে : মির্জা ফখরুল

আপডেট সময় : ০৬:৫৯:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করেছিল আওয়ামী লীগ। শেয়ালকে যদি মুরগির খাঁচায় ঢোকানো হয় তাহলে কী হবে, ঠিক সেরকমই করে নিজেরা ঢুকে ভোট দিয়ে দিত, জনগণকে ভোট দিতে দিত না।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) ঠাকুরগাঁও শিবগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ মাঠে বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগির।

এ সময় মির্জা ফখরুল বলেন, ভোটের অধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা, নিজের অধিকার আদায়ে সবাইকে ৫ আগস্টের মতো আবারও রাজপথে নেমে আসতে হবে। দেশের সংস্কার চান, নাকি হাসিনার নৌকায় যাবেন, সিদ্ধান্ত জনগণের।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, ভোট চাইতে আসি নাই। দেশ, মাটি, মানুষের জন্য প্রয়োজন হলে আবার ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াইয়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। মুক্তিযুদ্ধ-পরবর্তী বাংলাদেশে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শেখ মুজিব ব্যর্থ হয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভোট দেয়ার জন্য, ভালো থাকার জন্য, কম দামে খাওয়ার জন্য, মা-বোনদের কাপড়ের জন্য, ভালো অর্থনীতি চেয়েছিলাম। মুক্তিযুদ্ধের পর দেশের মানুষ আশা করেছিল শেখ মুজিব বড় নেতা, তিনি শান্তি প্রতিষ্ঠায় উদ্যোগ নেবেন। কিন্তু দেশের মানুষ শান্তি পায়নি। যে দলটাকে সাধারণ মানুষ ভালোবাসত, কিন্তু তারাই জনগণের ওপর চড়াও হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের পর। তাদের দুর্নীতি, নির্যাতন, খুন-গুমের কারণে অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বেরিয়ে এসেছিল।

এ সময় বিএনপির দীর্ঘ সময়ের রাজপথের আন্দোলন ও ত্যাগেই শেখ হাসিনার পতন সম্ভব হয়েছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেকে বলে বিএনপি তো পারে নাই, কিন্তু বিএনপি ১৫ বছর লড়াই করেছে বলেই তো ছাত্র-জনতা হাসিনাকে বিদায় দিতে পেরেছে। তোমরা সাহস করে দাঁড়িয়ে গেছ বলে সাধুবাদ জানাই। তবে বিএনপির ত্যাগ নির্যাতন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।

বিএনপির মহাসচিব অভিযোগ করেন, ভারতে বসে শেখ হাসিনা ষড়যন্ত্র করছে। এ অবস্থায় উগ্রবাদ মোকাবেলা ও প্রতিহত করতে হবে।

তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশে কোনো সাম্প্রদায়িকতা নেই। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে সব ধর্মের মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা হবে। কৃষক, শ্রমিকের ন্যায্য পাওনা নিশ্চিত করা হবে। আর গায়েবি মামলা হবে না। দেশের শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য এ সময় তিনি দায়িত্বশীলদের আরও সচেতন ও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, অনেকে যারা দ্বায়িত্বশীল যায়গায় আছেন, তাদের উল্টাপাল্টা কথা বন্ধ করতে হবে। দায়িত্বশীল জায়গায় বসে ভুল কথা বলে জনগণকে বিভ্রান্ত করা যাবে না। দেশের মানুষ অনেক নির্যাতন সহ্য করেছে এবার শান্তি চায়। মানুষ নির্বাচন চায়, যাকে খুশি তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে চায়।

মর্জা ফখরুল বলেন, যারা বলছে বিএনপি কিছু করেনি, তারাই সব একাই করেছে, তাদের বিএনপির ত্যাগের কথা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই। বিএনপি ১৫ বছর নির্যাতন গুম-হত্যা সহ্য করে লড়াই করেছে বলেই ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শেখ হাসিনা পালিয়েছে। ৭ লাখ মামলা ৩০ লাখ আসামি, আয়নাঘরে নিয়ে নির্যাতন, আওয়ামী লীগ এসব করে পালাতে বাধ্য হয়েছে। এত পাপ করেছে তারা যে আর পালানো ছাড়া পথ ছিল না।

ছাত্র-জনতাকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি আরও বলেন, অনেকে বলে বিএনপিতো পারে নাই, বিএনপি ১৫ বছর লড়াই করেছে বলেইতো ছাত্র-জনতা সাহস করে দাঁড়িয়ে গেছে। তাদের সাধুবাদ জানাই। তবে বিএনপির ত্যাগ নির্যাতন এড়িয়ে যাওয়া যাবে না।