মঙ্গল মিশন শুরু হবে আগামী বছর: এলন মাস্ক

- আপডেট সময় : ০৫:০৭:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫
- / 110
স্পেসএক্স-এর প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্ক বলেছেন, আগামী বছরের শেষ নাগাদ তার স্টারশিপ রকেট মঙ্গল গ্রহে যাবে। তবে সম্প্রতি ফ্লাইট টেস্টে একাধিক বিস্ফোরণের ঘটনা তদন্ত করছে সংস্থাটি। মাস্ক তার সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ একটি পোস্টে জানান, প্রাথমিক মিশন সফল হলে ২০২৯ সালের মধ্যে মঙ্গলে মানব অবতরণ শুরু হতে পারে, যদিও ২০৩১ সাল বেশি সম্ভাব্য।
স্পেসএক্স জানিয়েছে, সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের মূল কারণ বোঝার জন্য তারা ডেটা পর্যালোচনা করছে। বিস্ফোরণটি ঘটে কয়েকটি ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর। ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, স্পেসএক্স-কে আবার ফ্লাইট চালুর আগে তদন্ত করতে হবে।
নাসা চাঁদে ফিরতে আর্টেমিস মিশনের জন্য স্টারশিপের একটি পরিবর্তিত সংস্করণ ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। ১২৩ মিটার উচ্চতার স্টারশিপ হল এখন পর্যন্ত তৈরি সবচেয়ে বড় রকেট, যা মাস্কের মঙ্গল গ্রহে কলোনি স্থাপনের স্বপ্নের মূল চাবিকাঠি।
আরও পড়ুন: গাজায় ইসরাইলি বিমান হামলায় সাহায্যকর্মী নিহত
তবে টেস্টে একাধিক ব্যর্থতার মুখে পড়েছে স্টারশিপ। গত সপ্তাহে টেক্সাস থেকে পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের কয়েক মিনিট পরই একটি রকেট বিস্ফোরিত হয়। এটি ছিল এ বছরের দ্বিতীয় ব্যর্থতা; জানুয়ারিতেও একই ধরনের “দ্রুত অপরিকল্পিত বিস্ফোরণ” ঘটে।
মাস্কের পরিকল্পনা হল, এই রকেট সিস্টেম একদিন মানুষকে চাঁদে এবং পরে মঙ্গলে নিয়ে যাবে, যার মাধ্যমে মানুষ “বহু-গ্রহী” প্রজাতিতে পরিণত হবে। মাস্ক দীর্ঘদিন ধরে মঙ্গল মিশনের পরিকল্পনা করছেন। ২০১৬ সালে তিনি বলেছিলেন, ২০১৮ সালের মধ্যে তার ড্রাগন স্পেসক্রাফট মঙ্গলে পাঠাবেন। ২০২০ সালে তিনি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেছিলেন যে ২০২৬ সালের মধ্যে স্পেসএক্স মঙ্গলে মানুষ পাঠাতে সক্ষম হবে। ২০২৪ সালে তিনি জানান, ২০২৬ সালে প্রথম স্টারশিপ মঙ্গলে যাবে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে মানববাহী ফ্লাইট পাঠানো হবে।
মাস্ক আরও জানান, আগামী মঙ্গল মিশনে টেস্লার হিউম্যানয়েড রোবট “অপটিমাস” পাঠানো হবে, যা গত বছর প্রকাশ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, এই রোবট একদিন দৈনন্দিন কাজ করতে সক্ষম হবে এবং এর দাম হবে ২০,০০০ থেকে ৩০,০০০ ডলার।
শুক্রবার স্পেসএক্স ফ্যালকন ৯ রকেটের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (আইএসএস) দুই নভোচারীকে পাঠিয়েছে। বোয়িং-নির্মিত পরীক্ষামূলক মহাকাশযানে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে নভোচারী বাচ উইলমোর ও সানি উইলিয়ামসের আট দিনের মিশন নয় মাসেরও বেশি সময় ধরে চলছে।