ঢাকা ০৩:১১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫

সান্দাকফু পর্বতে যেতে হলে পর্যটকদের মানতে হবে বড় নির্দেশিকা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪
  • / 216
প্রথম পোস্ট সংবাদের সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গরমে অনেকেরই পছন্দ সান্দাকফুর শীতলতা। ট্রেকিং করে, গাড়িতে যেভাবে হোক দার্জিলিং ভ্রমণকারীদের অনেকেই সান্দাকফুতে ছুটছেন। ১১ হাজার ৯৩০ ফুট (৩৬৩৬ মিটার) উঁচুতে অবস্থিত সান্দাকফু এ রাজ্যের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। ফলে উষ্ণতার লেশমাত্র নেই। মে-জুনের গরমেও ভীষণ শীতলতা এখানে।

আর এমন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। সম্প্রতি পাহাড়ে এসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন পর্যটকের। এ ঘটনায় রীতিমতো ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পাহাড়ে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের জিটিএ কর্তৃপক্ষও। তাই জিটিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় বিশেষ করে সান্দাকফুতে যেসব পর্যটক আসবেন, তাদের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। খুব শীঘ্রই তা চালু করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে জিটিএর অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগের চিফ কো-অর্ডিনেটর সোনম ভুটিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে রাজ্যের পর্যটন দপ্ত‌রের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পর্যটন দপ্ত‌রের সবুজ সংকেত মিললে তবেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনই ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। তবে পর্যটকরা নিজেরাই ফিটনেস টেস্ট করে আসলে তাদের পক্ষে তা ভালো বলে তিনি মনে করেন। যাতে প্রায় ৩৫০০ মিটার উঁচুতে উঠে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়।’

আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জার

রাজ্যের ছাড়পত্র এলে ওই এলাকায় একটি কেন্দ্র খোলা হবে। সেখানে পর্যটকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাহাড়ে যাওয়ার আগে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা দরকার। ফুসফুসের অবস্থা জানার জন্য বুকের এক্সরে এবং পালমোনারি ফাংশন টেস্ট করানো আবশ্যিক। পাশাপাশি রক্তে লোহিত কণিকা, শর্করার পরিমাণ জেনে নেওয়া প্রয়োজন। পাহাড়ে ওঠার ক্ষেত্রে হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুস কতটা সক্ষম তা জানা যাবে। কিডনির সমস্যা ও রক্তে লোহিত কণিকা কম থাকলে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়।

এ কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। ফুসফুসে সমস্যা থাকলেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। হাতের বাইরে চলে যেতে পারে পরিস্থিতি। সান্দাকফু ট্র্যাকিংয়ে বর্তমানে প্রায় পাঁচদিন সময় লাগে। ট্রেকারদের মাথাপিছু প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

সান্দাকফু পর্বতে যেতে হলে পর্যটকদের মানতে হবে বড় নির্দেশিকা

আপডেট সময় : ১০:১৬:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪

গরমে অনেকেরই পছন্দ সান্দাকফুর শীতলতা। ট্রেকিং করে, গাড়িতে যেভাবে হোক দার্জিলিং ভ্রমণকারীদের অনেকেই সান্দাকফুতে ছুটছেন। ১১ হাজার ৯৩০ ফুট (৩৬৩৬ মিটার) উঁচুতে অবস্থিত সান্দাকফু এ রাজ্যের সর্বোচ্চ শৃঙ্গ। ফলে উষ্ণতার লেশমাত্র নেই। মে-জুনের গরমেও ভীষণ শীতলতা এখানে।

আর এমন পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেকেই। সম্প্রতি পাহাড়ে এসে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তিন পর্যটকের। এ ঘটনায় রীতিমতো ব্যাপক উদ্বেগ তৈরি হয়েছে পাহাড়ে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারতের জিটিএ কর্তৃপক্ষও। তাই জিটিএ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, পাহাড়ি দুর্গম এলাকায় বিশেষ করে সান্দাকফুতে যেসব পর্যটক আসবেন, তাদের ফিটনেস সার্টিফিকেট দেখাতে হবে। খুব শীঘ্রই তা চালু করা হবে।

বিষয়টি নিয়ে জিটিএর অ্যাডভেঞ্চার ট্যুরিজম বিভাগের চিফ কো-অর্ডিনেটর সোনম ভুটিয়া সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, পর্যটকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার কথা চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এই বিষয়ে রাজ্যের পর্যটন দপ্ত‌রের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পর্যটন দপ্ত‌রের সবুজ সংকেত মিললে তবেই স্বাস্থ্য পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এখনই ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে না। তবে পর্যটকরা নিজেরাই ফিটনেস টেস্ট করে আসলে তাদের পক্ষে তা ভালো বলে তিনি মনে করেন। যাতে প্রায় ৩৫০০ মিটার উঁচুতে উঠে কোনও সমস্যায় না পড়তে হয়।’

আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে ফেসবুক মেসেঞ্জার

রাজ্যের ছাড়পত্র এলে ওই এলাকায় একটি কেন্দ্র খোলা হবে। সেখানে পর্যটকদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, পাহাড়ে যাওয়ার আগে ইসিজি, ইকোকার্ডিওগ্রাফি করা দরকার। ফুসফুসের অবস্থা জানার জন্য বুকের এক্সরে এবং পালমোনারি ফাংশন টেস্ট করানো আবশ্যিক। পাশাপাশি রক্তে লোহিত কণিকা, শর্করার পরিমাণ জেনে নেওয়া প্রয়োজন। পাহাড়ে ওঠার ক্ষেত্রে হৃদ্‌যন্ত্র ও ফুসফুস কতটা সক্ষম তা জানা যাবে। কিডনির সমস্যা ও রক্তে লোহিত কণিকা কম থাকলে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়।

এ কারণে শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। ফুসফুসে সমস্যা থাকলেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে। হাতের বাইরে চলে যেতে পারে পরিস্থিতি। সান্দাকফু ট্র্যাকিংয়ে বর্তমানে প্রায় পাঁচদিন সময় লাগে। ট্রেকারদের মাথাপিছু প্রায় ১০ হাজার টাকা খরচ করতে হয়।